নিউজ শর্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে দশ টাকার (1o Rupees Note) নোটের চাহিদা বরাবরই তুঙ্গে। কিন্তু মুশকিল হল এখনকার বাজারে ১০ টাকার যে নোট ঘোরাফেরা করছে তার অবস্থা খুবই খারাপ। তাই ছেঁড়াফাটা এই সমস্ত নোট নিয়ে মহা সমস্যায় পড়েছেন আমজনতা। অন্যদিকে বেশ কয়েক বছর হল বাজারে নতুন ১০ টাকার নোটও আসছে না। অত্যাধিক প্রচলনের কারণে দু বছরেই ১০ টাকার নোট নষ্ট হয়ে যায়।
তাই হয়তো অনেকেই মনে করবেন যে এই পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে বাজারে ১০ টাকার নোট আনা উচিত। কিন্তু বিগত প্রায় আড়াই বছর ধরে ব্যাংকের শাখা গুলি আর বি আই থেকে ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোট পেলেও নিষিদ্ধ দশ টাকার নোট। তাই বাজারে এখন লেনদেনের জন্য যে সমস্ত ১০ টাকার নোট ঘুরছে তা মূলত পুরনো নোট।
কিংবা বিকল্প হিসাবে অনেকেই ১০ টাকার কয়েন দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। এখানে বলে রাখি ভারতের নোট ছাপানোর দায়িত্ব রয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) নোট প্রিন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার উপর। সূত্রের খবর ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১৪৭ কোটি ১০ টাকার নোট ছাপানো হয়েছিল। তার পরের অর্থবর্ষে মাত্র ১২৮ কোটি ৪০ লক্ষ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৭৫ কোটি ১০ টাকার নোট ছাপানো হয়।
কাজে বোঝাই যাচ্ছে এইভাবে ধীরে ধীরে ১০ টাকার নোট ছাপানোর সংখ্যা কমিয়ে আনা হচ্ছে। তাছাড়া করোনার পর রিজার্ভ ব্যাংক যে ‘ক্লিন মানি’ প্রকল্প নিয়েছিল তাতেও অনেক পুরনো ছেঁড়া ফাটা দশ টাকা নোট বাতিল হয়েছে। একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে ১০ টাকার নোট তৈরিতে রিজার্ভ ব্যাংকের খরচ অনেক বেশি হয়।
আরও পড়ুন: সুদের ওপর বাড়তি সুদ! FD-র সুদ ছাড়াও লোভনীয় এই সুবিধা দিচ্ছে HDFC ব্যাঙ্ক
জানা যাচ্ছে, এই দশ টাকার নোট তৈরি করতে খরচ হয় ১.০১ টাকা। অন্যদিকে ১০ টাকার একটি কয়েন মিন্ট করতে খরচ হয় ৫.৫৪ টাকা। কিন্তু এই দশ টাকার কয়েনের সুবিধা হল এগুলি নষ্ট হয়ে যায় না। কিন্তু ১০ টাকার নোট বছর দুয়েকের মধ্যেই ছিঁড়ে ফেটে যেতে পারে কিংবা বা ময়লা হতে শুরু করে।
কারণ এই দশ টাকার নোট বাজারে বেশি প্রচলিত। তবে এবার থেকে যাতে বাজারে দশ টাকার কয়েনের প্রচলন বাড়ে সেই কারণে RBI দশ টাকার নোটের পরিবর্তে পুরো ফোকাস এনেছে ১০ টাকার কয়েনের উপর। এইভাবে আগামী দিনে ১০ টাকার কয়েনের প্রচলনও বাড়বে, এবং দশ টাকার নোট ছাপানোর পিছনে যে বিপুল খরচ হয় তাও বাঁচানো যাবে।