সিনেমার পর্দায় যেমন ভিলেনদের শায়েস্তা করতে এবং ভালো মানুষের রক্ষা করতে নায়কেরা এন্ট্রি নেয়। বাস্তব জীবনেও এমনভাবেই সাধারণ মানুষদের রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন দক্ষিণের সুপারস্টাররা। আর এইসব নানা কারণের জন্য ধীরে ধীরে বলিউডকে টক্কর দিতে এগিয়ে আসছে দক্ষিণ তারকারা। এদের এই অসাধারণ সৌজন্যবোধ জানলে আরো অবাক হবেন আপনি। শুধুমাত্র পর্দার হিরো নয়, রিয়েল লাইফের সুপারহিরো দক্ষিণের এই সুপারস্টাররা। এনারা এমন কিছু অসাধ্য কাজ করেন যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাহলে দেখে নেই এই তালিকায় কারা কারা রয়েছে।
নাগার্জুন (Nagarjuna) : নাগার্জুনের অভিনয় গুণ নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছু নেই। অনেকেই হয়তো জানেন অভিনেতা বাস্তবে কিন্তু একজন পরিবেশপ্রেমী। আর তাই এই পরিবেশ রক্ষা করার জন্য হায়দ্রাবাদ ওয়ারবঙ্গল হাইওয়েতে উৎপল মেডিপল এলাকাতে চেঙ্গিচেলা বন ব্লকে ১০৮০ একর বনভূমি রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
পুনীত রাজকুমার (Puneet Rajkumar) : এই মানুষটি এখন আর পৃথিবীতে নেই। গতবছর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে তার। কিন্তু মৃত্যুর পরও তাকে ভগবানের মতো পূজা করেন তার ভক্তরা। এ কারণে তিনি ১৮০০ গরিব শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এমনকি করোনার সময় ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। গরিব মানুষের কল্যাণের জন্য অনেক রকমের কাজই করেছেন তিনি।
মহেশ বাবু (Mahesh Babu) : মহেশবাবুর জনপ্রিয়তা তো অনেক বেশি। একদিকে যেমন তার অভিনয়গুণ। তেমনি তার মনুষ্যত্ববোধ প্রশংসিত হন সব মহলে। মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানার দুটি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন তিনি। এই গ্রামের গরিব মানুষের দেখভালের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেন মহেশ বাবু।
বিশাল (Vishal) : দক্ষিণের এই সুপারস্টার বিভিন্ন ছবিতে হিন্দি ডাবিং করেন। পুনীত রাজকুমারের মৃত্যুর পর যখন তার ওপর নির্ভরশীল মানুষগুলো অনাথ হয়ে যায় সেই সময় আবার ত্রাতা হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন পুনীতের বন্ধু বিশাল। তিনি পুনীতের সমস্ত গোশালা, অনাথ আশ্রম এবং ১৮০০ শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
অল্লু অর্জুন (Allu Arjun) : আল্লু অর্জুনের জনপ্রিয়তা তো এই মুহূর্তে আকাশছোঁয়া। পুষ্পা ছবি সুপারহিট হবার পর দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে তার নাম। এই নায়ক প্রত্যেক বছর তার জন্মদিনে পার্টি করে টাকা খরচ না করে সেই টাকা মানসিকভাবে অসুস্থ শিশুদের মধ্যে দেয় এবং রক্ত দান করেন।