এখন আরো কাছাকাছি পুরী! স্যাট করে চলে যাবেন জগন্নাথ ধামে, বড়োসড়ো পদক্ষেপ সরকারের

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ঘুরতে যেতে প্রায় কম বেশি সকলেই ভালোবাসেন। দু-একদিনের ছুটি পেলেই এদিক সেদিক ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন মানুষজন। এদিকে সামনেই আসছে বাঙালীর শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তাই পূজোর সময় এমন অনেক বাঙালি আছেন। যারা কলকাতার বাইরে কোথাও ঘুরতে চলে যান।

আপনিও কি পুজোর সময় বাইরে কথা ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা করছেন? অনেকেই দুর্গাপূজার সময় জগন্নাথদেবের ধাম পুরীতে(Puri) ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। তাহলে পুরী সংক্রান্ত অনেক তথ্য নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের জন্য। পুরী হল ভ্রমণ প্রিয় মানুষের জন্য একটি অন্যতম পছন্দের জায়গা। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। পুরীতে কিন্তু কোন বিমানবন্দর নেই। বিমানবন্দর বলতে সেই ভুবনেশ্বরে রয়েছে। তাই রেলপথ বা সড়কপথে আসতে হয় পুরীর জন্য।

তবে এবার আর সেই সমস্যা থাকবে না। সুত্র মারফত জানা গিয়েছে, পুরীতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুব শীঘ্রই নির্মিত হতে চলেছে। এই বিমানবন্দর সাইটটি এমওসিএ থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। পুরীতে শ্রী জগন্নাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকারের পরিকল্পনাকে উৎসাহিত করে অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রক এই প্রকল্পের জন্য সাইট ক্লিয়ারেন্স অনুমোদন করেছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকারকে একটি ডিপিআর জমা দিতে হবে।

গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর নীতিমালা, ২০০৮ অনুযায়ী, বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়া বিশেষ প্রয়োজন ছিল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এমওসিএ রাজ্য সরকারকে বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য বলেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে গ্রীনফিল্ড বিমানবন্দরের স্টিয়ারিং কমিটির নীতিগত অনুমোদনের জন্য রাজ্যকে ডিপিআর সহ আবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর এই সমস্ত কিছুই যদি ঠিকঠাক থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই পুরীর বিমানবন্দর তৈরির কাজ চালু হয়ে যাবে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে এই বিমানবন্দর তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৫ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। পুরী জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই ব্রহ্মগিরি তহশীলের অধীনে সিপাসরুবালি ও সন্ধ্যাপুরে ৬৮ একর বনভূমি এবং ২২১,৪৮ একর ব্যক্তিগত জমি সহ প্রায় ১,১৬৪ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চালু করে দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, এই বিমানবন্দর স্থাপন করা হলে ভবিষ্যতে তীর্থস্থানে পর্যটকের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। এবার খুব সহজেই জগন্নাথ দেবের ধামে পৌঁছে যেতে পারবেন ভ্রমণার্থীরা।

Papiya Paul

X