Man who left job to start Agricultural Business and now Earning 16 Lakhs per month story

নতুন পদ্ধতিতে নার্সারি, চাকরি ছেড়ে এখন চাষ করেই মাসে ১৬ লাখ টাকা কামাচ্ছেন চন্দ্রকান্ত

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতবর্ষ একটি কৃষি প্রধান দেশ। আজও দেশের একটা বড় অংশের মানুষ চাষবাসের সাথে যুক্ত রয়েছেন। তবে চাষবাস অর্থে শুধুই ক্ষেতে ফসল ফলানো নয়। চাষের সাথে একাধিক ব্যবসা জড়িত রয়েছে। তাই চাষ না করলেও কৃষি সরঞ্জাম বানিয়ে সেটা বিক্রি করেও একটা ভালো ব্যবসা তৈরী করে নেওয়া যায়। জানলে অবাক হবেন বর্তমানে এমন অনেকেই আছেন যারা মোটা মাইনের কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে কৃষির সাথে যুক্ত হয়ে মাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন। আজ আপনাদের এমনই একটি কৃষি সংক্রান্ত ব্যবসার সম্পর্কে জানাবো যেটা পার্টটাইম করলেও মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করা যেতে পারে।

চাকরি ছেড়ে কৃষি ব্যবসায়

চাষের জন্য যেটা সবার আগে প্রয়োজন সেটা হল চারাগাছ। চারাগাছই বড় হয়ে ফসল উৎপন্ন করে। বীজ থেকে চারা তৈরির জন্য ব্যবহার করা হয়ে সিডলিং ট্রে (Seedling Tray)। যেখানে মাটি ও বীজ দিয়ে নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও পরিবেশ রাখলে কিছুদিনের মধ্যেই চারাগাছ তৈরী হয়। তারপর সেগুলোকে ক্ষেতে লাগানো হয়ে চাষের জন্য। এর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ দেখতে পাবেন নার্সারিতে গেলে। গাছ কিনতে গেলে দেখবেন সারি দিয়ে চারাগাছ রাখা রয়েছে। তবে এই চারাগাছ তৈরী বা সিডলিং ট্রে দিয়েই একটা দুর্দান্ত ব্যবসা তৈরী হয়ে যেতে পারে।

বছরে ২ কোটির আয়

আজ এমনই একজন ব্যবসায়ীর কথা আপনাদের জানাবো যিনি নিজের চাকরি ছেড়ে কৃষি ব্যবসায় এসে বছরে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। পুনে, মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা চন্দ্রকান্ত আদসারে, আজ চাষের পাশাপাশি  নিজের একটি সিডলিং ট্রে কোম্পানি চালাচ্ছেন। শুধুমাত্র ব্যবসা থেকেই প্রতিমাসে ১৬ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করছেন। কিভাবে শুরু হল? কিভাবে তিনি ধীরে ধীরে এত বড় ব্যবসা বানিয়ে তুললেন তার সবটাই আজ জানাবো আপনাদের।

সিডলিং ট্রে বা নার্সারি ট্রে তৈরির ব্যবসা

ধান, গম থেকে শুরু করে টমেটো, ফুলকপি যে কোনো সবজি চাষের জন্যই বীজ থেকে চারা তৈরীতে সিডিং ট্রে ব্যবহার করা হয়। কারণ এতে একদিকে যেমন বীজের জার্মিনেশন রেট অনেকটাই হাই হয় ফলে বেশি পরিমাণ চারা পাওয়া যায়। এতে করে একদিকে যেমন সময় বাঁচে তেমনি চাষের ক্ষেত্রেও বীজ নষ্ট কম হয়। চন্দ্রকান্তবাবু প্রথমে ভ্যাকিউম ফর্মিং মেশিন কিনে আনেন। এরপর হয় ইমপ্যাক্ট পলিস্টিয়ারিন শিট এনে সেই মেশিনের মাধ্যমে হিট মোল্ডিং পদ্ধতিতে ট্রে বানানোর কাজ শুরু করেন।

প্রতিটি ফসলের জন্য বীজের নার্সারি ট্রে আলাদা আলাদা হয়। যেমন মার্কেট ডিমান্ড থাকে সেই মত ট্রে বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেগুলো বাজারে বিক্রি করা যাবে। এমনকি চাইলে বড় কৃষকদের সাথে কন্ট্রাক্ট করেও কাজ করা যেতে পারে। এভাবেই ছোট থেকে শুরু করে আজ বছরে ২ কোটি টাকার ব্যবসা চালাচ্ছেন চন্দ্রকান্ত বাবু।

Partha Sarathi Manna

Partha Sarathi Manna

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক, রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন থেকে অ্যাডভান্স মাল্টিমিডিয়া ডিগ্রি। পড়াশোনা শেষে বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়াতে কর্মজীবন শুরু ২০২০ সালে। বিনোদন, লাইফস্টাইল, টেকনোলজি থেকে ভ্রমণ সম্পর্কে লিখতে দক্ষ। তবে পড়াশোনা বিষয়ক লেখালিখিতেও বেশ আগ্রহী। কাজের বাইরে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজ দেখতে, ঘুরতে যাওয়াই নেশা মেল - [email protected]

X