পার্থ মান্নাঃ প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের ব্যবহার করেন। তবে যাতায়াত করলেও সকলে টিকিট কেটে বা সমস্ত নিয়ম মেনে সফর করেন না। হ্যাঁ ঠিকই দেখছেন। প্রতিদিনই হাওড়া থেকে শিয়ালদহ ডিভিশনে ফাইনের দ্বারা লক্ষাধিক টাকার আয় হয় রেলের। আর সম্প্রতি এমনই একটা পরিসংখ্যান উঠে আসছে যেটা জানলে একদিকে যেমন অবাক হয়ে যাবেন, তেমনি কিছুটা হলেও চিন্তিতও হবেন।
সবেমাত্র শেষ হলে পুজোর মাস অক্টোবর। এই সময় যাত্রীদের সুবিধার জন্য হাজার হাজার অতিরিক্ত ট্রেন ঘোষণা করা হয়েছিল রেলের তরফ থেকে। তবুও যাত্রীদের তুলনায় ট্রেনের সংখ্যা কম পরে গিয়েছে। এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে রেলের নিয়ম না মানার জন্য হাজারো মানুষকে ফাইন করা হয়েছে আর তার থেকেই মোটা টাকা আয় হয়েছে। কত টাকা? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
উৎসবের মরশুমে মোটা টাকার লক্ষীলাভ রেলের
‘যত্রতত্র থুতু ফেলিবেন না’, একথা কম বেশি প্রতিটা স্টেশনের দেওয়ালেই লেখা দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই নির্দেশিকা দেখার পরেও এমন কিছু মানুষ আছেন যারা নিয়মের কোনো তোয়াক্কাই করেন না। যখন তখন ইচ্ছেমত যেখানে সেখানে থুতু ফেলে বা পানের পিক, গুটখার পিক ফেলে স্টেশন ছোট্ট নোংরা করেন। এবার তাদের কপাল পুড়ল।
যে সমস্ত লোকেরা নির্দেশিকা অমান্য করে স্টেশন চত্বরের পরিবেশ নোংরা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবছরের জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র স্টেশন চত্ত্বর নোংরা করার অভিযোগেই ১২,৯০০ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। এরপর তাদের যথাযথ জরিমানাও করা হয়েছে।
কত টাকার জরিমানা করল রেল?
জানলে অবাক হবেন, শুধুমাত্র স্টেশন চত্ত্বর নোংরা করার ফাইন হিসাবে ১৭ লক্ষ ৬৬ হাজার আদায় করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনেই ২৭৮৬ জনকে ধরা হয়েছিল। এরপর শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪৬৬৬ জনকে ধরা হয়েছে। এখানেই শেষ নয় আসানসোল থেকে ২৩০৪ জনকে ও মালদা ভিসিং থেকে ৭১৪ কে ধরা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অর্থাৎ এই চার ডিভিশনেই প্রায় সাড়ে দশ হাজার নিয়মভঙ্গকারীকে ধরা হয়েছিল।