অফবিট,ভারত,ভদোদরা,নীল,সোলার সাইকেলOffbeat,India,Vadodara,Neel,Solar Cycle

Papiya Paul

মাত্র ৩০০ টাকার ভাঙা সাইকেল এখন সুপার সোলার সাইকেল, বিনা খরচায় চলবে কয়েক কিলোমিটার

অনেক বাচ্চা আছে যারা ছোট থেকে অসাধারণ বুদ্ধি নিয়ে জন্মায়। এমন অনেক বাচ্চার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। তেমনই এক শিশু হলো ভদোদরার নীল। তার বাবা মৎস্য বিভাগের একজন কর্মী। তিনি তার ছেলেকে পড়াশোনা শেখানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ছোট থেকেই নীলের অংক ও বিজ্ঞান বিষয়ে বিশাল জ্ঞান রয়েছে। তবে শুধুমাত্র বইয়ের জ্ঞানে সীমাবদ্ধ থাকেনি তিনি। এর সাথে বাইরের জ্ঞান ও রয়েছে তার।

   

এই নীল এখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ে। পড়াশোনায় ছোট থেকেই খুব ভালো সে। কিছুদিন আগেই তার শিক্ষকের সাহায্যে একটি সোলার সাইকেল তৈরি করেছে। এই সাইকেল ই-স্কুটারের মতই কাজ করে। আর এই সাইকেল চালাতে কোন খরচ হয় না। এখানে ইলেকট্রিক খরচ ও প্রয়োজন হয় না। কারণ সোলার প্যানেল দিয়েই ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়।

এই নতুন সাইকেল আবিষ্কার প্রসঙ্গে নীল বলেন যে ছোটবেলায় স্কুলে লাইব্রেরীতে ক্রিয়েটর নামে একটি বই পড়েছিল সে। সেই বইতে বিভিন্ন বিজ্ঞানের মডেল তৈরি করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে সে বুঝতে পেরেছিলো এই সবকিছুর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞান তাই সেই দিকেই মনোনিবেশ করে থাকে। এর আগেও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময় বজ্র প্লাস্টিকের বোতল, পিচবোর্ড এবং একটি ছোট মোটর ব্যবহার করে হেলিকপ্টার তৈরি করেছিল সে।

এই সাইকেল তৈরি প্রসঙ্গে সন্তোষ কৌশিক বলেন যে নীল সব সময় লাইব্রেরী থেকে পদার্থ বিজ্ঞানের বই নিয়ে আসতো। সেই সব বই সব তার সিলেবাসের বাইরে ছিল। এই শিক্ষক নীলকে সোলার স্কুটার তৈরির সম্বন্ধে বলেছিল। আর মাত্র এক মাসের মধ্যে এই সাইকেল তৈরি করেছে নীল।

একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে একটি সাইকেল কিনে নেন তারা। এরপর মোট ১২ হাজার টাকা খরচ করে সোলার সাইকেলে রুপান্তরিত করা হয়। এরমধ্যে সোলার প্যানেলের সাহায্যে ব্যাটারি চার্জ হয়। এরপর টায়ারের সঙ্গে যুক্ত থাকা ডায়নামো অনেক সময় সোলার লাইট ছাড়া সাইকেল টিকে চার্জ দিয়ে দেয়।

নীল জানিয়েছে যে এই সোলার সাইকেল ১০ ওয়াটের একটি সোলার প্লেট বসানো আছে, যাতে সাইকেলটি খুব সহজেই ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। ভবিষ্যতে সে একজন পদার্থবিজ্ঞানী হতে চায় বলে জানিয়েছে।