একটি কুকুরের প্রতি একটি শিশুর স্নেহ ও ভালোবাসা মানে যে দুজনে একসাথে থাকা তা কিন্তু নয় কখনো কখনো এই ভালোবাসার জন্য প্রিয়জনকে নিজের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হয়। আর এই ঘটনাটি সত্যিই ঘটেছে। সেই শিশুটি তার কুকুরের সাথে এমনটাই করেছে। আসলে সে করতে বাধ্য হয়েছে। শিশুটি তার কুকুরকে বেঁধে রেখে পাশে একটি চিঠি দিয়ে গিয়েছিলেন। কুকুরটি খুব ভয় পেয়েছিলো এবং সারাদিন সে ক্ষুধার্ত তৃষ্ণার্ত ছিল।
আর এই কুকুর সমেত চিঠিতে পেয়েছিলেন মার্সেলা গোল্ডবার্গ নামে একজন ব্যক্তি। যিনি এই গোল্ডেন রিট্রিভার কুকুরকে একটি পার্কের বেঞ্চে বসে থাকতে দেখেন। তারপাশে থাকা সেই চিঠিটি পড়ে যে কারো চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসবে। এই কুকুরটির নাম ডগি বোস্টন। সেই ছোট্ট ছেলেটি চেয়েছিল তার প্রাণের কুকুর একটি ভালবাসার মালিক পান এবং তার বাড়িতেই থাকুক। কুকুরটিকে এভাবে পার্কে বেঁধে রাখার কারণ তিনি চিঠিতে দিয়েছেন।
ঐ শিশুটি জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকেরা বোস্টনের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করতেন। তাকে ঠিকমতো খেতেও দিতেন না তার ওপর মারধর করতেন। কুকুরের ওপরে নির্মম অত্যাচার তিনি আর সহ্য করতে পারেনি। এই কারণে বোস্টনকে একটি চিঠি দিয়ে পার্কে পরিত্যক্ত ভাবে রেখেছিলেন যাতে কোন সহৃদয় ব্যক্তি তাকে দত্তক নেন এবং ভালভাবে যত্নে রাখুন। এরপরে মার্সেলা ২২ নভেম্বর ২০২০-এ বোস্টনকে পেয়েছিলেন।
এরপর তাকে তার আশ্রয়ে নিয়ে যায়। এখন সে মানসিক এবং শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু তারপরও সে নিজের জন্য এমন একজন মালিক খুঁজছে যেখানে সে তার বাড়ি খুঁজে পাবে। আসলে করোনার কারণে, প্রাণীদের দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া এখন আটকে দেওয়া হয়েছিল, যার কারণে বোস্টন এখনও তার নতুন মালিক এবং বাড়ির জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানা গিয়েছে।
