অফবিট,অনুপ্রেরণামূলক কাহিনী,ব্যবসায়ী টিপস,চা বিক্রেতা,ভারতীয় টাকা,অভিমুন্য রেভান শিন্ডে Offbeat,Inspirational Story,Business Tips,Tea Seller,Indian Rupees,Abhimanyu Revan Shinde

Papiya Paul

করোনাকালে চলে যায় চাকরি, নিজের চেষ্টায় চা বিক্রির ব্যবসা করে এখন মাসে কামাচ্ছেন ২ লক্ষ টাকা

নিজের কঠোর পরিশ্রম থাকলে যেকোনো অসাধ্য কাজ করা সম্ভব হয়। আর জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেখতে চাইলে অধ্যবসায় ও কঠোর পরিশ্রম একান্ত প্রয়োজন। আজকে এমনই একজন ব্যক্তির কথা বলব যিনি চা বিক্রি করে প্রত্যেক মাসে দু লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করছে। এই চা বিক্রেতার নাম অভিমুন্য রেভান শিন্ডে। তিনি একটি টি স্টার্টআপ কোম্পানি খুলেছিলেন। যেখানে একটি ফোনের মাধ্যমে আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় তাজা গরম চা পৌঁছে যাবে।

   

২০২০ সালের জুন মাসে এই ব্যবসা শুরু করেন অভিমুন্য। প্রত্যেক মাসে এই ব্যবসা করে ৫০ হাজার টাকা লাভ হয়। এখানে ৫ জন কর্মচারী রয়েছে যারা ডেলিভারি বয় হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন প্রায় ৭০০ কাপ চা বিতরণ হয়। রেহান বলেন, ‘আমি মাত্র দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। ৬ বছর আগে আমার ভাই বোনদের সঙ্গে কাজের সন্ধানে পুনে এসেছিলাম। পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ের একটি লজিস্টিক কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি পেয়েছিলাম। যেখানে মাসে ১২,০০০ টাকা বেতন পেতাম।’ কিন্তু ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এই কোম্পানি বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে চাকরি চলে যায় রেভানের।

এরপরে রেভান আরো জানায়, ‘আমি একটি স্ন্যাক সেন্টারে কাজ করেছি। তারপর ২০২০-র মার্চ মাসে আমি পিম্পরিতে একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে আমার নিজের ছোট চায়ের দোকান শুরু করি।’ কিন্তু এর কয়েকদিন পরেই সারা দেশ জুড়ে কঠোর লকডাউন শুরু হয়। এরফলে রেভান তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করা সমস্ত সঞ্চয় চলে যায়। তবে জুন মাসের পর থেকে ধীরে ধীরে আবার নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। এরপরে এই ব্যবসা দিয়ে প্রথম ছয় মাসে, পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড়ে দ্বারা প্রায় ৭০০ কাপ চা বিতরণ করা হয়েছিল।

এখন তার মাসিক টার্নওভার প্রতি মাসে 2 লাখ টাকা। আর লাভ হচ্ছে ৫০ হাজার টাকার মতো। রেভেন বলেছেন যে গত এক বছরে তার আর্থিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু, এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তার বড়ো ভাইয়ের গুরুত্ব অনেক। তিনি বলেছিলেন, “আমার প্রথম ব্যবসা ব্যর্থ হওয়ার পর, আমার পরিবার আমার উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু আমার বড় ভাই সিদ্দারাম, যিনি ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করেন, সেই সময়ে আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন এবং আমাকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন।”

আর এই ব্যবসায়ী সাফল্যের পর রেভান এখন গ্রামের ছাত্রদের সাহায্য করতে শুরু করেছে। তিনি বলেছেন যে অনেক গরিব শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসে। তাদের থাকার ও খাওয়ার জন্য একটা রুম ভাড়া দিয়েছেন তিনি। এখন তিনি ৫ জন ছাত্রের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু, যদি তার আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়, তাহলে তিনি আরও বেশি লোককে সাহায্য করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন।