Papiya Paul

ছিলেন সামান্য এক গৃহবধূ, নিজের মনের জোরে তৈরী করেন ঘি তৈরির ব্যবসা, আজ মাসিক ইনকাম ২০ লক্ষ টাকা!

নতুন কিছু করে দেখানোর ইচ্ছে থাকলে যে কোন ভাবেই সেই ইচ্ছে পূরণ করা যায়। অনেকে আবার ব্যর্থ হয়েও হাল ছাড়েননি। আজকের এই প্রতিবেদনে এমনই এক মহিলার জীবন কাহিনীর কথা জানাবো। করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন খুব কষ্টতে ভুগেছিলেন। কিন্তু সেই করোনা থেকে রেহাই পেয়েছেন বছর পঞ্চাশের পাঞ্জাবি এক বধু কমলজিৎ কৌর(Kamaljit Kaur)।

   

আর জীবনের এই দ্বিতীয় সুযোগকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চাননি। আর তাই বাড়িতেই ঘি বানিয়ে বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। শুধু ঘর আর সংসার সামলানো নয়, জীবনে কিছু করে দেখানোর প্রবল ইচ্ছে ছিল তার মধ্যে। এমনকি নিজের গুণ নষ্ট হতে দিতে চাননি তিনি। আগাগোড়াই ভালো ঘি বানাতে জানতেন। তখন শুধুমাত্র পরিবারের লোকজনদের জন্যই বানাতেন।

এরপর তিনি সেই ঘি আরো বেশি পরিমাণে বানানো শুরু করলেন। শুধু পরিবার-পরিজনের জন্য নয় অন্য মানুষদের জন্য। পাঞ্জাবি ঘরের বধূ বাইরের সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যত হলেন। লুধিয়ানার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাই ছোট থেকেই বিভিন্ন খাবার, ঘি তৈরি করতে পারতেন। এরপর বিয়ে হয়ে গেলে স্বামীর সঙ্গে মুম্বাই চলে যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে ও নিজের হাতেই ঘি তৈরি করতেন কমলজিৎ।

এরপর পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে তিনি শুরু করেন ‘কিম্মুস কিচেন’। নিজের বাড়িতেই বড় পাত্রে ঘি তৈরি করেন এবং সেগুলো বোতলবন্দী করেন। তারপর সেগুলিকে বিক্রি করতে শুরু করেন। তার তৈরি ঘি পুরনো বিলোনা পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়। সেখানে কোন রাসায়নিক মেশানো হয় না। প্রথমদিকে অল্প অল্প বিক্রি হতে হতে এখন তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

প্রতি মাসে প্রায় ৪৫০০ বোতল ঘি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়। সারাদেশে তার ক্রেতার সংখ্যা প্রচুর। প্রতিমাসে এখন তিনি প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এভাবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী করে তুলেছেন কমলজিৎ।