২০০৭ সালে অভিষেক তার ঘরে ঐশ্বর্য নিয়ে আসেন। না ধন দৌলত ঐশ্বর্য নয়, তার থেকেও দামী ‘ঐশ্বর্য রাই’কে বিয়ে করেন তিনি। এই বিয়ে নিয়ে তখন কম মাতামাতি হয়নি। আর কেনই বা হবেনা, স্বয়ং বিগবি-র ছেলে বিয়ে করছেন বিশ্বের অন্যতম সুন্দরী এক লাবণ্যময়ীকে। তার সৌন্দর্য্যের চমকে অন্ধকার ঘরও আলোর প্রভায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল দুজনের বিয়েতে বলিউডের নামিদামী তারকার উপস্থিতিতে যেন একটুকরো চাঁদ পৃথিবীতে নেমে এসেছিল। একাধিক কারণে এই বিয়ে ছিল সকলের চর্চার বিষয়। তবে একই সাথে নিয়ে নিয়ে তৈরি হয় বিস্তর বিতর্ক। বিয়ের দিন বচ্চন পরিবারের বাড়ির বাইরে হুলস্থুল পড়ে যায়।
না কোনো বড় অভিনেতানেত্রীর আগমনের জন্য নয়, হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল কারণ জাহ্নবী কপূর নামে মুম্বইয়ের এক জন মডেল এবং নৃত্যশিল্পী ঐশ্বর্যার বিরুদ্ধে ‘স্বামী’ চুরির অভিযোগ এনে সরব হন ওইদিন। তার দাবি ছিল যে, অভিষেক তাকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে করেছেন আর তার স্বামীকে চুরি করে নিচ্ছে বিশ্বসুন্দরী।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান যে, তিনি এবং অভিষেক নাকি বিগত দুই বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা করছেন। আর তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন বচ্চনপুত্র। পরিচয় কীভাবে হয় প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন যে, এক সিনেমাতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করার সময় থেকেই তার সাথে অভিষেকের পরিচয় হয়। আর সেখান থেকেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে দুজনের।
শুধু তাই না, এর পর সাংবাদিকদের সামনে হাত কেটে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন জাহ্নবী। জুহু থানাযতে অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে সেখানে উপস্থিত পুলিশ উল্টে তাকেই গ্রেফতার করে। জনসমক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করার শাস্তিস্বরূপ ১০ হাজার টাকার জরিমানা নিয়ে তাকে ছাড়া হয়।
এদিকে তাকে এই নিয়ে প্রমাণ দিতে বলা হলে তিনি জানান যে, ‘‘সত্যিকারের ভালবাসায় প্রমাণের দরকার হয় না।’’ যদিও সেখানেই ব্যাপারটা ধামাচাপা পড়ে যায়। পরবর্তীতে এই ঘটনা নিয়ে বচ্চন পরিবারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।