এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নিয়েও সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর অন্যতম উদাহরণ তিনি। প্রচুর পরিশ্রম, স্ট্রাগেল, ইচ্ছেশক্তি, মনের জোর এই সবকিছুর মেলবন্ধনেই তিনি আজ একদিকে অভিনেতা, অন্যদিকে প্রযোজক, সাংসদ। তিনি হলেন হাজার হাজার অনুরাগীর মনের মানুষ দেব। জীবনে সাফল্যে পেলেও আজও তিনি পাশের বাড়ির ছেলে, মানুষের পাশে, মানুষের জন্য সবসময় কাজ করতে ভালোবাসেন দেব।
প্রকৃতপক্ষেই বড়দিনের দিন জন্ম নেওয়া যেন সার্থক তাঁর জন্য। পর্দার নায়ক হলেন বাস্তব জীবনের মানুষের সান্তা। ওই যে কথায় বলে ‘ডাউন টু আর্থ’ এই কথাটাও দেবের জন্য প্রযোজ্য। আজ এই অভিনেতার জীবনের কিছু কথা আপনাদেরকে জানাবো। সেই সুদূর মুম্বই শহর থেকে তাঁর স্বপ্নের শুরু। তাঁর বাবার ক্যাটারিং সার্ভিস ছিল, এই জন্য মুম্বইয়ের ফিল্ম স্টুডিওতে খাবার সরবরাহ করতেন তিনি। আর সেখানেই একদিন নানা পাটেকরের ‘প্রহার’ ছবির সেটে গিয়েছিলেন দেব।
ঐদিন প্রথম সিনেমার শুটিংয়ে যাওয়া, আর ঐদিন অভিনেতা হবার স্বপ্ন বোনা শুরু। যদিও প্রথম দিকে বলিউডেই নিজের শুরু দেখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা হয়নি। এরপর ২০০৫ সালে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে প্রথম ছবি করেন ‘অগ্নিশপথ’, যদিও এই ছবি সফল হয়নি। তাঁর ঠিক দু’বছর পর ২০০৭ সালে রবি কিনাগীর ‘আই লাভ ইউ’ ছবিতে নজর কাড়েন দেব। ছবি সুপারহিট হলেও পরের ১৪ মাস ডাকেননি কোনো পরিচালক। দেবের প্রথম ব্রেক হয় রাজ্ চক্রবর্তীর ‘চ্যালেঞ্জ’ দিয়ে।
সত্যিই তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। সেই ছবি সুপারহিট হবার পরে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একটার পর একটা বাণিজ্যিক ফিল্ম সফল হয় তার। এরপরেই নিজেই থেকে অন্যধারার ছবি শুরু করেন অভিনেতা। দেবের ডেডিকেশন মুগ্ধ করে সিনেপ্রেমীদের। এরপর নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলেন দেব। নিজের পছন্দমত ছবি করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।
যদিও দেবের এই সিদ্ধান্ত ভুল বলে মনে করেছিলেন অনেকেই। কিন্তু একের পর এক অন্যরকম ছবি বানিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি। আসলে দেবের ডিকশনারিতে ‘হার’ শব্দটা নেই। তাই তিনি ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েই সকলের কাছে ‘চ্যাম্প’ হয়ে উঠতে পেরেছেন।