টলিউড,বিনোদন,অনির্বাণ ভট্টাচার্য,সাক্ষাৎকার,Tollywood,Entertainment,Anirban Bhattacharya,Interview

Moumita

‘তারকারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যে শ্রম দিচ্ছে, সেইটা অভিনয়ে দিলে কাজে লাগত’, টলিউড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অনির্বাণের

আজকালকার দিনে আর অভিনয়টা পেশা নয়, নিজের নামের আগে অভিনেতা যোগ করে দিলেই যেন পরের দিন থেকে অভিনয় শুরু করে দেওয়া যায়। বাস্তবেও এর ব্যতিক্রম নয়। সম্প্রতি এমনটাই মন্তব্য করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পুজোর আগে এক নামি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বেশ খোশমেজাজে আড্ডা দিলেন অভিনেতা।

   

ইদানীং নেটদুনিয়ায় কলাকুশলীদের নিশানা করে খোলাখুলি আক্রমণ চলছে। যেন আদালত বসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। থিয়েটার ছেড়ে বা থিয়েটারের পাশাপাশি পর্দায় অভিনয় করলে তাকে ‘জাতে ওঠা’, ‘উত্তরণ’ গোছের শব্দবন্ধে বেঁধে ফেলার চেষ্টা চলছে। এ কি উচিত কাজ? সম্প্রতি এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেত্রী রায়তী ভট্টাচার্য।

পাশাপাশি বর্তমান দিনের প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড় নিয়ে হতাশায় ভোগা অভিনেতা-নেত্রীদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়? নেটদুনিয়ার লাইক, ফলোয়িং বজায় রাখতে গিয়ে নিজের জীবন বিপন্ন করতেও দুবার ভাবছেনা এরা‌। আর এই প্রবণতা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।

এই প্রসঙ্গে অভিনেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে অনির্বাণ জানান, “এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এক জন মঞ্চের অভিনেতা ভাল কাজ করলে, জনপ্রিয়তা পেলে, তাকে সিনেমায় আনা হয়। সিনেমায় ভাল করলে তিনি আরও বেশি মানুষের ভালবাসা পান। সারা বিশ্বে এত কাল ধরে এমনটাই হয়ে আসছে। এতে কে প্রশংসা করল, আর কে করল না, সে সব ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না। ঈর্ষাজনিত কারণে যদি কেউ কোনও মন্তব্য করে থাকেন, সেটাও প্রথাগত ভাবেই আসছে”।

তবে এই খাপ পঞ্চায়েতের কারণে যদি খারাপ লাগা বাড়ে? অনির্বাণের মতে, এমনটা হলে নেটদুনিয়া ত্যাগ করতে হবে। না হলে খারাপ লাগা বাড়তেই থাকবে। তবে তিনি এটাও বললেন যে, তিনি উপদেশ দেওয়ার কেউ নন। কিন্তু সকাল বেলা আড়মোড়া ভাঙতেই ভেঙে ফেসবুক পোস্ট পড়ে কারও কোনও কিছু খারাপ লাগে, মন ব্যথিত বা ব্যতিব্যস্ত হয়ে যায়, তা হলে মুশকিল।

অভিনেতার মতে, ‘‘থিয়েটার, সিনেমা কিংবা অভিনয় শিল্প সব কিছুই এর থেকে অনেক বড়। এই খারাপ লাগাটা যদি একটা ব্যাধি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে কয়েক বছর পরে, তা হলে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ার কারণেই। কারণ বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী তাদের অভিনয়ের পিছনে যে শ্রমটা দিচ্ছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করছেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি সাজাতে।’’ আর তাই এসবে মন না দিয়ে ক্লোজ শটে কে কতটা নিখুঁত অভিনয় করতে পারছেনা সেটা দেখলেই সব সমস্যার অবসান।