বিনিয়োগ,টাকাপয়সা,Investment,Money

Moumita

শুধু চাকরির টাকা থেকেই কোটিপতি হতে চান! তাহলে একটা ছোট্ট কাজেই হতে পারে আপনার স্বপ্নপূরণ

আজকের এই মূল্যবৃদ্ধির দিনে শুধুমাত্র চাকরির উপর অনেকেই ভরসা পান না। এমতাবস্থায় রোজকার বাড়ানোর জন্য ব্যবসার কথা ভাবলেও সঠিক পরিকল্পনা, পুঁজি না থাকায় পিছিয়েও আসতে হয় অনেক সময়। এমতাবস্থায় নিজেকে অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত করতে বিনিয়োগের চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। তবে চারিদিকে এতো স্কিমের ছড়াছড়ি যে কোনটা নেবেন তা নিয়ে হকচকিয়ে যান।

   

এরমধ্যে ভারতীয়দের আরো একটা বড়ো সমস্যা হলো, মানুষ ভাবে চাকরি পেলেই জীবন সার্থক। কিন্তু তার পরেও খরচ খরচা, সেভিংস সবকিছু হিসেব নিকেষ করে চলাও যে একটা ব্যাপার এবং সেটাও যে প্ল্যানিং করেই করা উচিত তা ভেবে উঠতেই পারে না। এমতাবস্থায় মানুষ খুঁজে পায়না যে কীভাবে টাকা বাঁচাবে।

সেই সব সমস্যার কথা মাথায় রেখেই আজ আমরা বেতন বাঁচানোর একটি অনন্য উপায় বলতে যাচ্ছি। আর এতে মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই কোটিপতিও হতে পারবেন আপনি। তবে জানিয়ে রাখি, এরজন্য প্রতি মাসে বেতনের একটা অংশ আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে এই প্ল্যানে। এতে যেমন খরচও কমবে তেমনই ভবিষ্যতও সুরক্ষিত হবে।

প্রসঙ্গত, নিজের বেতনের একটা নির্দিষ্ট অঙ্ক বিনিয়োগের জন্য আলাদা করে রাখুন। এবং সেই অর্থ ব্যালেন্স ফান্ড বা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করুন। যে কোনো মানুষের জন্যই এটি একটি দূর্দান্ত প্ল্যান হতে পারে। বেতনের যৎসামান্য এইভাবে বিনিয়োগ করলেই ভবিষ্যতে মোটা অঙ্কের মুনাফা অর্জন করতে পারবেন আপনি।

পাশাপাশি নিজের স্যালারির কিছুটা টাকা মিউচুয়াল ফান্ডের জন্যেও রেখে দিতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই আপনি মিউচুয়াল ফান্ড ডিস্ট্রিবিউটর বা বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে পরামর্শ করে নিন। পাশাপাশি নিজের আইএসপির পরিমাণও বাড়াতে পারবেন।

একথা সবসময় মাথায় রাখা উচিত যে, চাকরির টাকা থেকে তাড়াতাড়ি ধনী হতে চাইলে দ্রুত বিনিয়োগ শুরু করা উচিত। আর সেটাও যখন তখন নয় একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করা উচিত। উদাহরো আপনি যদি প্রতি মাসে ৪৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে আগামী ১০ বছরের জন্য আপনার বিনিয়োগ দাঁড়াবে ৫৪ লাখ টাকা।

এবার জানিয়ে দিই এই বিনিয়োগ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্নও পেয়ে যাবেন আপনি। তাহলে সেই হিসেবে এই ৫৪ লাখ টাকার পরিবর্তে আপনি পেতে পারেন ১.০৪ কোটি টাকা। এমতাবস্থায় আপনার যদি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন থাকে এবং আপনি যদি ব্যবসার ঝামেলায় না যেতে চান তাহলে বিনিয়োগই একমাত্র ভালো উপায়।