প্রথমে রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) বিতর্কিত মন্তব্যে উত্তাল হয়েছিলো আর তারপরই সঙ্গীত শিল্পী ‘কে কে’ এর মৃত্যু যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিলো। সম্প্রতি সেই আগুনকেই আরও একটু উসকে দিয়ে এখন ট্রেন্ডিংয়ে মিও আমোরে(Mio Amore)। সকালেই রোদ্দুর রায়ের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের পর ধাক্কা এলো রুপঙ্করের কর্মজীবনেও।
সম্প্রতি প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী ‘কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ’ কে অবমাননা করে ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনদের তীক্ষ্ণ নজরে পড়েছিলেন বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী। তার বিতর্কিত মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর থেকে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছিলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্যের সঙ্গীতপ্রেমীরা হামলে পড়েছিলেন রূপঙ্করের উপর। আর এই জনরোষ থেকে রেহাই পেতে রূপঙ্করের গলায় জিঙ্গলটি তুলে নিয়েছে মিও আমোরে। মিডিয়া সূত্রে জানা গেছে ১ লা জুনই জিঙ্গলটি সরিয়ে নিয়েছে মিও আমোরে।
জনপ্রিয় সংস্থা মিও আমোরে (Mio Amore), যে সংস্থার বিজ্ঞাপনী গানে শোনা যায় রূপঙ্করের কণ্ঠ। কিন্তু প্রয়াত গায়কের কনসার্টের খবর আসতেই তাকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। সেই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সারা শহরবাসীর দাবানলের মত রোষ এসে পড়ে রূপঙ্করের ওপর। অনেকের দাবি, রূপঙ্করের অভিশাপেই নাকি মৃত্যু হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কেকের।
যত দিন এগোচ্ছে, কেকে-রূপঙ্কর বিতর্ক দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে নেটদুনিয়ায়। ফেসবুক, টুইটার জুড়ে শুরু হয়ে গেছে বয়কট রূপঙ্কর’ হ্যাশট্যাগ। জনতার দাবি তুলে নিতে হবে রূপঙ্করের গানটিকে। আর জনতা জনার্দনের রোষানল থেকে বাঁচতে এই গানটি তুলে নেয় মিও আমোরে কর্তৃপক্ষ। সাথে সংস্থাটি এও জানিয়েছে যে, তারা কোনোভাবেই ‘কে কে’ সম্পর্কে রূপঙ্করের বক্তব্যকে সমর্থন করছেননা। এক সাক্ষাৎকারে মিও আমোরের মার্কেটিং বিভাগের আধিকারিক অভিষেক মুখোপাধ্যায় বলেন যে, ”গত ১ জুন থেকে আমাদের এই বিজ্ঞাপনী জিঙ্গল তুলে নেওয়া হয়েছে। এটি কেবলমাত্র রেডিয়োতেই চলত। তবে আর এটি চালানো হবে না। আগামীদিনে আমরা অন্য কোনও ভাবনা নিয়ে, অন্য কোনও জিঙ্গল নিয়ে আসব।”
প্রসঙ্গত, সর্বজিৎ মৈত্র নামে এক নেটিজেন ফেসবুকে ‘মিও আমোরে’কে ট্যাগ করে লেখেন, ‘দয়া করে আপনাদের ব্র্যান্ড থেকে রূপঙ্কর বাগচীর গানটা সরিয়ে দিন। না হলে, ক্রেতারা এই বেকারি ছেড়ে অন্য কোনও সংস্থার কাছে চলে যেতে পারেন।’ নেটিজেনের এই মন্তব্য চোখে পড়া মাত্রই প্রতিক্রিয়া আসে মিও আমোরে সংস্থার তরফ থেকে। ফেসবুকের কমেন্ট বক্সে সংস্থার তরফ থেকে লেখা হয়, ‘গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) মন্তব্যে আমরা দুঃখিত। রূপঙ্কর যা বলেছেন, তার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই সংস্থার। তবে আমাদের তরফ শীঘ্রই একটা পদক্ষেপ করা হবে এই বিজ্ঞাপনী গানের ব্যাপারে। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন।’ সাথে মিও আমোরের তরফ থেকে এটাও সাফ জানানো হয়েছে যে, ভবিষ্যতে তারা আর কোনোদিনই রূপঙ্করের সাথে কাজ করবে না।