গত কয়েকমাস এবং সাম্প্রতিক সময়ে বয়কট বলিউড নিয়ে জেরবার সিনে দুনিয়া। আমির খানের ‘লাল সিং চাড্ডা’ বয়কটের পর থেকেই চাঞ্চল্য সর্বত্র। একটার পর একটা বলিউড ছবিকে বাতিলের খাতায় ফেলে দিচ্ছে দর্শকমহল। এবার বোধহয় বাদ গেলো না হৃতিক-সইফের বিক্রম ভেদাও।
একটা বিতর্কিত মন্তব্য যে কত বড়ো সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে তার প্রমাণ আমরা আগেই দেখেছি। ‘লাল সিং চাড্ডা’র মতো মেগা বাজেট এবং বড়ো তারকায় ভরা ছবিও ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে বক্স অফিসে। সম্প্রতি সইফ আলি খানের এমনই কিছু পুরোনো মন্তব্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, আজ বক্স অফিসে মুক্তি পেতে চলেছে আর মাধবন এবং সেতুপতি অভিনীত মাস্টারপিস ‘বিক্রম ভেদা’-র হিন্দি রিমেক। এই ছবিতে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হৃতিক রোশন এবং সইফ আলি খান। বিগত কয়েকদিনে বলিউড ছবিগুলি যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে তাতে করে এই ছবিটি নিয়ে খানিকটা আশার আলো দেখার চেষ্টা করছে নির্মাতারা।
তবে তার মাঝে সইফের এই ভিডিও সমস্ত আশায় জল না ঢেলে দিলে হয়। কারণ এইমুহুর্তে ভিডিওটি যেভাবে ভাইরাল হচ্ছে তাতে করে ‘বিক্রম ভেদা’-র পরিণতি যে ‘লাল সিং চাড্ডা’র মতো হবে না তা আর জোর গলায় বলা যায়না। কিন্তু কী এমন বলেছেন সইফ আলি খান যে, মানুষ এতোটা খেপে উঠেছে! চলুন দেখে নিই অভিনেতার বক্তব্য।
ভিডিওটি একটি সাক্ষাৎকারের, যেখানে সইফকে বলতে শোনা যায় যে, তিনি কোনোভাবেই তার ছেলের নাম ‘রাম’ রাখবেন না। এদিকে স্ত্রী করিনা কাপুর খানের দেওয়া তৈমূর নামটির প্রশংসা করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। সইফের কথায়, ‘দিনদিন যেভাবে ইসলামোফোবিয়া ছড়িয়ে পড়ছে তাতে আমি ভয় পাচ্ছি। আমি কোনোভাবেই আমার ছেলের নাম আলেকজান্ডার বা রাম রাখতে পারি না। তার জায়গায় কেন একটি সুন্দর মুসলিম নাম নয়।’
If you can’t make your son ram we can’t accept you as vikramaditya in vikramvedha #BoycottVikramVedha https://t.co/TgwCGVWDDW
— Ashutosh Sharma (@Ashutos30575647) September 20, 2022
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, তৈমুর বিন তারাগাই বার্লুস ছিলেন মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ। ইতিহাসে স্বৈরাচারী, অত্যাচারি শাসক এবং হিংস্র যোদ্ধা হিসেবে বিশেষ কুখ্যাতি ছিলো তার। সেনাধ্যক্ষ হিসেবে তিনি অবশ্যই সফল একজন সেনানায়ক ছিলেন বটে কিন্তু সেই সফলতার পেছনে রয়েছে লাখো ভারতীয়ের রক্তের ইতিহাস। ভারত আক্রমণের পর যে পরিমাণ মানুষ হত্যা করেছিলেন তিনি তা হয়তো খুব কম জনেই করেছে। তৈমুরের ভারত আক্রমণের পর ভারতের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা একবারেই ভেঙে পড়ে। পাশাপাশি তিনি যে পরিমাণ সম্পদ লুঠ করে নিয়ে যান তাতে ভেঙে পড়া অর্থনীতি আর ঘুরে দাঁড়ায়নি। আর এই তৈমুরের নাম থেকেই নিজের বড়ো ছেলের নাম রেখেছেন সইফ-করিনা।