Papiya Paul

একইসঙ্গে জ্বলেছিল ১২ লক্ষ প্রদীপ, গিনিস ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডে উঠে গেল অযোধ্যার নাম

দীপাবলীর প্রাক্কালে অলক্ষীকে বিদায় করে লক্ষীকে আহ্বান জানানো হচ্ছে প্রত্যেক বাড়িতে। আলোর রোশনাই সেজে উঠেছে সম্পূর্ণ ভারত বর্ষ। তবে বুধবার দীপাবলীর আগের দিন অযোধ্যায় যে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল তা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছেন প্রত্যেক ভারতবাসী। শ্রীরামের শহরকে দীপাবলীর আগের দিন ১২ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল একই সঙ্গে। এতগুলি প্রদীপ জ্বালানোর জন্য খরচ হয়েছিল ৩৪ হাজার লিটার সরিষার তেল।

   

এই আলোর উৎসবে শ্রী রামের পায়ে দেওয়া হয়েছিল ৯ লক্ষ প্রদীপ এবং ভোটার অযোধ্যা রাজ্য সাজিয়ে তোলা হয়েছিল প্রায় ৩ লক্ষ প্রদীপ দিয়ে। শুধু তাই নয় রাম জন্মভূমি কমপ্লেক্সে জ্বালানো হয়েছিল আরো ৫১ হাজারো প্রদীপ। এই প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনিস ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডে অযোধ্যার নাম নথিভুক্ত করে ফেললেন উত্তরপ্রদেশের প্রধানমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

এই প্রথমবার দীপাবলি উৎসবে ড্রোন শোয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১২ হাজার মানুষ।শুধু ভারত বর্ষ নয়, ভারতবর্ষের বাইরে থেকেও বিভিন্ন দল এসেছিল রামপালা দেখাতে। এই অনুষ্ঠানে এক বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দরিদ্রদের বিনামূল্যে খাদ্য শস্যের প্রকল্পের সময়সীমা তিনি বাড়িয়ে দিলেন হোলি পর্যন্ত। এই প্রকল্পে প্রত্যেক মানুষকে দেওয়া হয় ১ কেজি রান্নার তেল,১ কেজি লবণ, ১ কেজি ডাল। এছাড়া দরিদ্রদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য প্রকল্প চালাচ্ছে সরকার যেখানে প্রতি মাসে ১৫ কোটি মানুষ ৫ কেজি করে শস্য পাচ্ছেন।

প্রসঙ্গত,যোগী রাজত্বে প্রথম বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে জ্বালানো হয়েছিল ১৮০০০০ টি প্রদীপ। এরপর ২০১৮ সালে ৩০১১৫২ টি, ২০১৯ সালে ৫৫০০০০ টি এবং ২০২০ সালে ৬ লক্ষ ৬ হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছিল যোগী রাজ্য। আর এবার যোগী সরকারের ৫ বছরের সময়কালের শেষ বছরে ১২ লাখেরও বেশি প্রদীপ জ্বালিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে দিলেন। নিঃসন্দেহে এটি ভারতের জন্য একটি গর্বের বিষয়।