নিউজ শর্ট ডেস্ক: দিনের পর দিন যে হারে গরম পড়ছে ,তাতে বাংলার ঘরে ঘরে এসি (AC) আর বিলাসিতা নয় হয়ে উঠেছে প্রযোজ্যনীয়তা। বিশেষ করে এবছর বৈশাখ মাসের শুরু থেকেই যে হরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে তাতে একেবারে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় বঙ্গবাসীর।
তাই এই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে বাঁচতেই এখন ইএমআই-তে হলে এসি কিনতে ছুটছেন বাংলার মানুষ।ঘরের মাপ অনুযায়ী কেউ বাড়ি আনছেন ১ টন, তো কেউ ১.৫ টনআবার কেউবা কিনছেন ২ টনের এসি। কিন্তু এসি কিনতে গিয়েও বিপত্তি। একই এয়ার কন্ডিশনিং মেশিনের হরেক রকম ফিচার দেখে ‘ঘেঁটে ঘ’ অধিকাংশ ক্রেতা।
ইদানীং আবার কনফিউশন বাড়াচ্ছে ইনভার্টার এসি (Inverter Ac) আর নন-ইনভার্টার এসি (Non-inverter Ac)। দোকানে গিয়ে অনেকেই দোটানায় পড়ে যাচ্ছেন এই দুই ধরণের এসির মধ্যে কোনটি কিনলে বিদ্যুতের বিল কম আসবে? অনেকের আবার এই ইনভার্টার এসি আর নন-ইনভার্টার এসির পার্থক্যই বুঝতে গিয়েই ঘেমে-নেয়ে একসা অবস্থা। শুধু তাই নয় কোনটিতে দ্রুত ঘর ঠান্ডা হয় সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খায় কমবেশি সকলের মনে।
আসুন প্রথমেই আলোচনা করা যাক ইনভার্টার এসির কথা বলি, এই এসির কাজ হল কম্প্রেসারের মোটরের গতি নিয়ন্ত্রণ করা। তাই ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে , ইনভার্টার এসি কম্প্রেসারকে থামতে দেয় না, কিন্তু কম্প্রেসারকে কম গতিতে চলতে দেয়। তাই ঘর ঠান্ডা কিংবা উষ্ণ হওয়ার পর ইনভার্টার AC শক্তি সঞ্চয় করতে থাকে। এই এসি ঘরের প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা বজায় রাখতে মোটরের গতি কমিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বিদ্যুতের বিলের চিন্তায় ঘুম উড়েছে! বাড়িতে লাগান এই সোলার এসি, টাকা বাঁচবে প্রচুর
শুধু তাই নয়, এক ইউনিটে পৌঁছানোর আগেই ইনভার্টার এসি গ্রিড থেকে ডিসি পাওয়ারকে এসিতে রূপান্তরিত করে। তাই ঘর ঠান্ডা হওয়ার পর মেশিনের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথেই এই প্রক্রিয়া বিদ্যুতের বিলও কম করতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে একেবারে উল্টো কাজ করে নন-ইনভার্টার এসি। তাই নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসর নির্দিষ্ট গতি মেনে চলে। কম্প্রেসর চালু থাকলে ঘর ঠান্ডা হয়ে যায়। ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে কম্প্রেসর বন্ধ হয়ে যায়।কিছুক্ষন পর ঘর গরম হলে আবার কম্প্রেসর চালু হয়ে যায়। তবেএই Ac তে বেশি বিদ্যুত খরচ হয়।
তবে ইনভার্টার এসির তুলনায় নন-ইনভার্টার এসির দাম কম হওয়ায় অনেকেই টাকা বাঁচাতে এই এসি কেনেন। কিন্তু শুরুতে কম টাকা খরচ হলেও পরে এই নন-ইনভার্টার এসির জন্যই কিন্তু মাসের শেষে বেশি বিদ্যুতের বিল দিতে হবে।