ঘড়ি (Watch) তো সবার বাড়িতেই আছে। ঘড়ি নিয়ে শৌখিন এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অনেকেই তো আবার নানান ধরনের ঘড়ির কালেকশন রাখতেও ভালোবাসেন। সে হাতঘড়ি হোক কি দেওয়াল ঘড়ি। আগেকার যুগে আবার বাড়িতে ইয়া মস্ত মস্ত পেন্ডুলামের ঘড়ি থাকতো। পুরানো বাংলা গল্পে আর্মানি গির্জার ঘড়ির বিবরণ মেলে।
আসলে ঘড়ি উপোঢৌকন এবং শখের বস্ততে পরিণত হলেও, মানুষের ঘড়ি দেখার স্বভাবটা বেশ পুরোনো। আজকাল অবশ্য হালফ্যাশনের স্মার্টওয়াচের যুগে ঘড়ির সেই ঐতিহ্য আর নেই। আগে বেশ টিক টিক আওয়াজ করে ঘড়ি চলতো, রাত্রিবেলা সেই শব্দ আরো ভালো শোনা যেত।
ঘড়ি নিয়ে কথা বলতে বসলে অবশ্য কথা শেষ হওয়ার নয়, এক দশক আগেও মানুষের কাছে ঘড়ি ছিল বিলাসিতার বস্তু। কিন্তু কখনো লক্ষ করেছেন কি যে, ঘড়ি কেনার সময় সর্বদাই সেখানে ১০ বেজে ১০ মিনিট সময় দেখায়! সে হাতঘড়ি হোক কি দেওয়াল ঘড়ি, সর্বদাই একই চিত্র। কিন্তু কেন এমন একইসময় দেখায় সেখানে? এর পিছনে কি এমন বিশেষ যুক্তি রয়েছে?
এই নিয়ে অবশ্য নানা মুনির নানা মত, কারো মতে দশটা দশ বাজার কারণ হতে পারে, তাদের প্রস্তুতকারকদের কোনও নিয়ম। আবার কারো মতে ঘড়িতে ১০:১০ বাজলে সেটিকে ইংরেজি অক্ষর ‘V’ এর মতো দেখতে লাগে। ইংরাজী ভাষায় ‘V’ এর অর্থ ভিকট্রি, অথবা বিজয়ের প্রতীক। সেজন্যও নাকি ঘড়িতে এরুম দেখানো হয়ে থাকে।
কিছু বিশেষজ্ঞের আবার বক্তব্য, ঘড়িতে ১০:১০ বাজলে খুব ভালো ভাবে ব্র্যান্ডের নাম শো করা যায়, তো কারো কথায় ১০:১০ বাজলে ‘V’ আকৃতির দেখতে লাগে এবং সেটাকে দেখে অনেক সময় মনে হতেই পারে যেন ঘড়িটি হাসছে। এই নিয়েও দ্বিমত রয়েছে।
কিছু ঘড়ি গবেষকরা দিনরাত এক করে রিসার্চ করে জানিয়েছেন, হিরোশিমায় পারমানবিক বোমা ফেলা হয়েছিল, ঠিক এই সময়। আর হিরোশিমায় মারা যাওয়া প্রতিটি মানুষের সাথে সহানুভূতি প্রকাশ করতেই এমনটা করা হয়। আরেকদল গবেষক মনে করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকে যখন গুলিবিদ্ধ করা হয় তখন তার পকেটে থাকা ঘড়িতেও নাকি ১০:১০ বাজছিল।
ঘড়ির ঠিক ১০:১০ বাজার কারণ নিয়ে নানা মুনির নানা মত, কিন্তু আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন কি প্রতিটি ঘড়িতেই কেন একই সময় দেখায়? আপনার কাছে যদি আসল কারণ জানা থাকে তাহলে আমাদের জানাতেও ভুলবেননা যেন!