সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়,স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত,বেলাশুরু,Soumitra chattopadhyay,Swatilekha Sengupta,Belashuru

Moumita

‘এই বেলার শেষ নেই’, ‘বেলাশুরু’ জুটি ‘সৌমিত্র-স্বাতীলেখা’র উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন আমূলের

অবশেষে দীর্ঘ আড়াই বছরের অপেক্ষার পর এই শুক্রবারই সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে ‘বেলাশুরু’। শিবপ্রসাদ নন্দিতার পরিচালনায় তৈরী এই মুভিটির জন্য বহুদিন ধরেই অপেক্ষা করেছিল দর্শককুল। বড়পর্দাতে সৌমিত্র, স্বাতীলেখার রসায়নে ফের মুগ্ধ হয়েছেন সিনেভক্তরা। দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বহু অপেক্ষার পর মুক্তি পাওয়ার কারনে সিনেমাটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনার শেষ নেই। মুক্তির প্রথম দিনেই বক্স অফিসে ৩৫ লক্ষ টাকা আয় করেছে এই ছবি। তবে এবার বেলাশুরুর দুই প্রয়াত কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কার্টুন তৈরি করেছে ‘আমূল সংস্থা’।

   

আমুলের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে কার্টুনটি এঁকে পোস্ট করা হয়েছে। বেলাশুরু সিনেমাতে স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত অভিনয় করেছেন আরতির চরিত্রে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আরতি,অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত এক রুগী। যিনি তিনি নিজের সমস্ত স্মৃতি হারিয়েছেন। এরপর তার অসুস্থ স্ত্রী এর একাই দেখাশোনা করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অভিনীতি বিশ্বনাথ চরিত্র। এই সিনেমারই এক দৃশ্যে এই বৃদ্ধ বয়সে এসেও তাদের দুজনের রোম্যান্স দেখা যাচ্ছে। বিশ্বনাথ ধীরে ধীরে তার স্ত্রী এর মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন , আবার কখনো পরম যত্নের সাথে মাথার চুল আঁচড়ে দিচ্ছেন তিনি। এই দৃশ্য টিকেই নিজেদের কার্টুনে তুলে ধরে আমূল কোম্পানি। সেখানে তারা লিখে যে, ‘এই বেলা কখনোই শেষ হবে না’।

আমুলের পোস্টে দুই অভিনেতাকে তাদের শেষ ছবিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছবির ক্যাপশনে লেখা হয় যে, ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত জুটির ছবি বেলাশুরু। ভারতীয় সিনেমায় এই প্রথমবার দুই মুখ্য চরিত্র আর বেঁচে নেই।’ এরপরই আমুলের এই শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি ফেসবুকে লেখেন যে, ‘এর থেকে সুন্দর, আর গর্বের মুহূর্ত হয় না’।

প্রসঙ্গত, সৌমিত্র অভিনীত বেলাশেষে মুক্তির প্রায় সাত বছর পর মুক্তি পায় ‘বেলাশুরু’। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ছবি মুক্তির অনেক আগেই স্বর্গরত হয়েছেন ছবির নায়ক-নায়িকা অর্থাৎ সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত দুজনেই। দুজনেই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেও দর্শকদের মননে আজও রয়ে গেছেন। এমনকি সিনেমা মুক্তির অনুষ্ঠানে সৌমিত্র এবং স্বাতীলেখার জন্য দুটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়। যাতে দুই কিংবদন্তির নামও লেখা ছিল।