নিউজ শর্ট ডেস্ক: বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) পোকা অথচ স্টার জলসার (Star Jalsha) জনপ্রিয় বাংলা সিরিয়াল (Bengali Serial) ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র (Anurager Chhowa) নাম জানেন না এমন দর্শকদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। দীর্ঘ প্রায় এগারো মাসের বেশি সময় ধরে একটানা বেঙ্গল টপার হয়ে সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল এই সিরিয়ালটি।
যদিও এখন সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছেনা এই সিরিয়ালের। এক সময়কার টিআরপি (TRP) মেটেরিয়াল এই সিরিয়াল এখন কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ছে প্রত্যেক সপ্তাহেই। প্রথম স্থান তো দূরের কথা ইদানিং টপ ফাইভেও জায়গা হচ্ছে অনুরাগের ছোঁয়ার। আর এই প্রথম অনুরাগের ছোঁয়ার টিআরপি কমে যাওয়াকে সমর্থন করছেন দর্শকরাও।
তার পিছনে রয়েছে একটাই কারণ। তা হল গল্পের একঘেয়েমি। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস ধরে চলতে থাকা এই সিরিয়ালের একঘেয়ে বস্তাপচা কনসেপ্ট দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা। খলনায়িকা মিশকার একের পর এক শয়তানি করে পার পেয়ে যাওয়া আর নায়িকা দীপার মুখ বুজে সমস্ত অপমান সহ্য করা এটাই চলছে শুরু থেকে।
তাই সিরিয়ালে যে ট্র্যাকই আসুক না কেন তা ঘুরে ফিরে এসে দাঁড়ায় এই একই জায়গাতেই। আর ইদানিং মিশকার সমস্ত শর্ত সূর্য আর তার মা লাবণ্য যেভাবে বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছে তা কিছুতেই মানতে পারছেন না দর্শক। গত পর্বেই দেখা গিয়েছে সূর্য আর লাবণ্য নিজে থেকে দীপার বাপের বাড়িতে এসেছে ঠিকই, কিন্তু তারা এদিন দীপাকে নয়, শুধু সোনা রূপাকে নিয়ে যেতে চায়।
আরও পড়ুন: TRP কমাই উচিত! অনুরাগের ছোঁয়ায় সূর্য-লাবণ্যর ন্যাকামি দেখে ক্ষোভে ফুঁসছেন দর্শক
একথা শুনে যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিল না দীপা। এদিনও লাবণ্য দীপাকে বলে আরেকটু সহ্য করে নিতে। কিন্তু এদিন আর চুপ করে থাকেনি দীপা। সে এদিন স্পষ্ট জানায় ‘আমি আর সহ্য করতে পারছি না। অনেক হয়েছে। আমি আর আমার মেয়েদের কাছ ছাড়া করব না।’ তখন সূর্য দীপাকে বোঝাতে যায় আর কয়েকটা দিন সহ্য করে নিতে। পরিস্থিতি ঠিক হলেই সে তাকে নিজে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: TRP বাড়বে হুড়মুড়িয়ে! মিঠাইয়ের জনপ্রিয় নায়ক এবার ফুলকিতে, উচ্ছসিত দর্শক
তখন নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি দীপা। এদিনসে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ‘এবার যা হবে সব কোর্টে হবে। ডিভোর্স পেপারে যখন সই করে দিয়েছি তখন বাকিটাও আইনি ভাবেই হোক। আমি আমার মেয়েদের কিছুতেই ওই বাড়িতে যেতে দেব না কারণ ওই বাড়িতে মিশকা আছে।’ তখন বাধ্য হয়েই সূর্য আর লাবণ্য সেখান থেকে চলে যায়।