Papiya Paul

‘উনি আমার মায়ের মত’, বিতর্ক এড়াতে তড়িঘড়ি অনামিকা সাহার কাছে ক্ষমা চাইলেন অপরাজিতা আঢ্য

একসময় বাংলা চলচ্চিত্রের খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী অনামিকা সাহা। সেই সময় খলনায়িকা বলতে তার নামটি প্রথমে উঠে আসতো। ১৯৭৩ সালে ‘আশার আলো’ ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর একটানা ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত অভিনয় করেছেন তিনি। এরপরে দীর্ঘ দিনের বিরতি নেন অভিনেত্রী। শুধু বড় পর্দায় নয়, ছোট পর্দায়ও কাজ করেছেন তিনি। যদিও এখন বহু বছর তাকে সেভাবে টিভির পর্দায় দেখতে পাওয়া যায় না।

   

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী। এদিন তিনি আরেক অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্যকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সেদিন তিনি বলেছিলেন যে অপরাজিতা আঢ্যকে তিনি হাত ধরে অভিনয় জগতে নিয়ে এসেছিলেন। আর আজ বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে গিয়ে কোথাও অনামিকা সাহার কৃতিত্ব তুলে ধরেননি অপরাজিতা। এখন তো আর খোঁজখবর নেওয়ার সময় পান না লক্ষ্মী কাকিমা। একসময় এই অনামিকাকে তিনি ‘মামমাম’ বলে ডাকতেন। আর এখন কোন যোগাযোগই রাখে না অপরাজিতা।

আর এবার এই অভিযোগের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পর্দার লক্ষ্মী কাকিমা। বাংলার এক জনপ্রিয় ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, অনামিকা সাহা যে দাবি করেছেন তিনি অপরাজিতাকে প্রথম ছবিতে সুযোগ দিয়েছিলেন। এ কথা একেবারেই সত্যি। কারণ সেই সময় অনামিকা সাহা স্বপন সাহার সব ছবিতেই কাজ করছিলেন, এদিকে তখন অপরাজিতা সবেমাত্র ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। অনামিকার অনুরোধে স্বপন সাহা তাকে ‘শিমুল পারুল’ ছবিতে কাজ করেছেন।

এরপর প্রসেনজিতের কথার পরিপেক্ষিতে অপরাজিতার বক্তব্য, তাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রসেনজিৎ রাগ করেছিলেন একথা সত্য নয়। কারণ নিজেই প্রসেনজিৎ অনামিকাকে বলেছিলেন যে ‘আপনি তো সাথে করে মেম নিয়ে ঘুরছেন’। তবে একসাথে কাজ করা হয়নি বলে আর যোগাযোগ রাখা হয়নি। তবে এই নিয়ে আর কোন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

অপরাজিতা বলেছেন, “উনি আমার মাতৃসম। মায়েরা বরাবরই একটু বেশি অভিমানী হন। যদি আমার কারণে উনি অভিমান করে থাকেন তাহলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আমি ইচ্ছা করে কিছুই করিনি। উনি আমাকে ভুল বুঝেছেন বলেই আমার খারাপ লেগেছে।”