সফলতার শীর্ষে থাকা একজন অতি জনপ্রিয় গায়ক তিনি। তাঁর সুরের জাদুতে বিমোহিত হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। যেমন সুরেলা গলা তেমনই মধুর ব্যবহার তাঁর। আরব সাগরের গ্ল্যামার দুনিয়ার হাতছানি এড়িয়ে জিয়াগঞ্জের মাটিতে হামেশাই দেখা যায় তাঁকে। হয়তো বুঝেই গেছেন আমরা কার কথা বলছি।
আজ আমরা বলছি ভারতমাতার যোগ্য সন্তান অরিজিৎ সিংয়ের কথা। এর আগেও তার মহানুভবতার বহু নিদর্শন দেখেছি আমরা। সম্প্রতি আবারও একবার দেশবাসীর মন জিতে নিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাকে দেখা গিয়েছে পারিবারিক বন্ধুর শঙ্কর মণ্ডলের নার্সিং কলেজে। গত মঙ্গলবার সেখানে আচমকাই উপস্থিত হন তিনি।
তারকা বন্ধুকে দেখে বেশ ব্যোমকে গেলেও এটা তে তাঁর স্বভাবের মধ্যেই পড়ে তা একপ্রকার জানা কথা। প্রিয় মানুষটাকে সামনে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নার্সিং কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। তবে তিনি কি কোনো কনসার্ট বা প্রমোশোনের জন্য সেখানে হাজির হয়েছিলেন? এমনটা মোটেও না।
আসলে অরিজিৎ এবং তাঁর টিম একটি কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। সেই কারণেই নার্সিং কলেজে আগমণ তাঁর। সূত্রের খবর, অরিজিৎ সিংয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জিয়াগঞ্জের ছেলেমেয়েদের বিনামূল্যে ইংরেজি শেখানোর ব্যবস্থা করতে চায়। আর সেই কারণেই কোচিং সেন্টার খোলার জন্য প্রয়োজন একটু জায়গার। দরকার প্রায় ৮ টির মতো রুম। তাই বন্ধুর কলেজেই সেই জায়গা হতে পারবে কি না তাই খোঁজ নিতে এসেছিলেন তিনি।
এইদিন শঙ্কর মণ্ডলের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, জিয়াগঞ্জ থানা আর তার নার্সিং কলেজের দূরত্ব খুব বেশি নয়। সেখানে সকাল ছটা থেকে আটটা এবং বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ইংরেজি কোচিং ক্লাস করানোর আর্জি নিয়ে এসেছিলেন অরিজিৎ সিং। আর এই সময়গুলো নার্সিং কলেজে কোনও ক্লাস হয় না। তাই তিনিও অরিজিৎ-এর এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে অরিজিৎ যখন একেবারে সাদামাটা পোশাকে নার্সিং কলেজে পৌঁছান তখন সবাই একটু চমকেই গেছিলো। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা। পছন্দের গায়ককে এরকম হাতের নাগালে পেয়ে ছবি, ভিডিও তুলতে ভোলেনা শিক্ষার্থীরা। আর সেই ছবি, ভিডিও গুলিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপরই যখন অরিজিৎ-এর এভাবে কলেজে যাওয়ার কারণ প্রকাশ্যে এলো রীতিমত ধন্য ধন্য পড়ে গিয়েছে চারিদিকে।