কয়েক মাস আগেই খবর এসেছিল মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে অরিজিৎ-র কনসার্ট হবে কলকাতার ইকোপার্কে। এই নিয়ে হইচই কম হয়নি। প্রথমে তো টিকিটের দাম নিয়ে সমালোচনা আর তারপর তো শেষমেষ কনসার্টটাই বাতিলের পথে। আপাতত মানুষের একটাই প্রশ্ন, ১৮ই ফেব্রুয়ারি কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে গাইবেন তো অরিজিৎ?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে দেশের অন্যতম খ্যাতনামা গায়ক হলেন অরিজিৎ সিং। তার সুরের জাদুতে বিমোহিত হয়েছে আসমুদ্রহিমাচল। বাংলার এই ছেলেটার সরলতা আর গায়কীতে মজেছে গোটা দেশ। এরকম একটা মানুষকে সামনে থেকে দেখার লোভ কি সামলানো যায়? তাই টিকিটও বিক্রি হয়েছিল হুলিয়ে।
ভেনু হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল রাজারহাটের ইকো পার্কের নাম। আয়োজক ‘পেটিএম ইনসাইডার’-এই কনসার্টের সর্বোচ্চ টিকিট মূল্য রেখেছিল ৫০ হাজার। এই পরিমাণ টাকা খরচ করতেও পিছপা হয়নি অরিজিৎ ভক্তরা। এতকিছুর পর এরকম একটা শো ক্যান্সেল হওয়ায় বেশ ভালোই মুসড়ে পড়েছে সবাই।
আর শেষমুহূর্তে ইকোপার্কের এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছে আয়োজকরা। আর এই বিতর্কে শাসক দলের উপর আঙুল তুলেছে বিজেপি। কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ‘রং দে তো মোহে গেরুয়া’ গাওয়ার ফলেই নাকি মুখ্যমন্ত্রীর বিরাগভাজন হয়েছেন অরিজিৎ। এই বিষয়ে সরাসরি কটাক্ষ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। শাসকদলের দাবি, অরিজিৎ সিংয়ের কনসার্ট বাতিল হওয়ার সাথে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনো যোগসূত্র নেই। এই বিষয়ে হিডকোর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘ইকো পার্কে কখনই অরিজিৎ-এর কনসার্টের অনুমতি দেওয়া হয়নি’।
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি হিডকোর চেয়ারম্যান, কোনও অনুষ্ঠান হতে গেলে আমার সই লাগে, আমি কোনও অনুমতিপত্রে সই করিনি’। এমতাবস্থায় আদৌ এই শো হবে কি না সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলার ছেলে তার রাজ্যেই গান গাওয়ার সুযোগ পেলনা, এমন নানা মন্তব্যে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।