বিনোদন,বলিউড,আরিয়ান খান,মাদক কান্ড,পুলিশ কেস,গাঞ্জা,Entertainment,Bollywood,Ariyan Khan,Intoxicating,police case,marijuana

Moumita

‘ঘুম না আসায় গাঞ্জা খেতাম’, NCB’র জেরায় স্বীকারোক্তি শাহরুখ পুত্র আরিয়ানের

অবশেষে গাঁজা কেলেঙ্কারিতে রেহাই মিলল খান পরিবারের। অনেক টানপোড়নের পর অবশেষে NCB বেকসুর খালাস করেছেন শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানকে। গত ২ অক্টোবর ২০২১ থেকে বিনিদ্রার রাত কাটাচ্ছিল পুরো খান পরিবার, কিন্তু আজ সেখান থেকে মিলেছে মুক্তি। প্রসঙ্গত গতবছর ২ রা অক্টোবরই মাদক কাণ্ডে ধরা পড়ে বলিউডের কিং খানের ছেলে।

   

এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাথে সাথেই তা হয়ে যায় সংবাদের শিরোনাম। এরপর ২৫ দিন জেলের ভাত খেতে হয়েছে শাহরুখের ছেলে আরিয়ানকে। এবার এই ঘটনার ফলে সারা ভারতের সামনে যে খান পরিবারের মুখ পুড়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। ছেলেকে জেল থেকে ছাড়াতে কাল ঘাম ছুটে গিয়েছে কিং খানেরও।

অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর, একগুচ্ছ শর্তের বিনিময়ে আরিয়ানের জামিন মঞ্জুর করে NCB। কিন্তু তাতেই কি মেলে রেহাই? তদন্ত চলতেই থাকে ভারিক্কি চালে। আসলে এই সময় খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছিল সত্যিই কি মাদক নিয়েছিলেন আরিয়ান? কিভাবে তিনি যুক্ত হলেন মাদক পাচার কাণ্ডে? সমস্ত কিছু নিয়েই একেবারে চুলচেরা তদন্ত চালাচ্ছিল NCB। উল্লেখ্য, এই ঘটনার দিন গোয়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া কার্ডেলিয়া শিপে চলছিল হাই প্রোফাইল রেভ পার্টি। এবার সেই ক্রুজশিপে বেআইনি মাদক সেবনের অভিযোগ ওঠে কিং খানের ছেলে আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে। এবং অভিযোগ ওঠার সাথে সাথেই এনসিবির হাতে গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র।

তবে শুধু আরিয়ান খান নন, তার সাথে গ্রেফতার হন আরো ১৯ জন। সমীর ওয়াঙখেড়ের নেতৃত্বাধীন NCB এর দল ওই দিন রাত্রিবেলাই গ্রেফতার করে সবাইকে। তবে একা আরিয়ান খানের নাম উঠলেও এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। তবে আরিয়ানের সাথে নাম জড়িয়ে পড়ে তার বাবা কিং খানের। কিন্তু আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার সাথে সাথেই প্রশ্ন উঠছিল ড্রাগস না-থাকা সত্ত্বেও কেন তিনি গ্রেফতার হলেন তিনি।

যদিও সম্প্রতি প্রমাণ হয়ে গিয়েছে যে, কিং খানের ছেলে সম্পূর্ন নির্দোষ। কারণ তার বিরুদ্ধে চলা গাঁজা পাচার এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে NCB-এর কাছে তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তার কাছ থেকে মাদকজাত কোনো দ্রব্য না মিললেও এদিন NCB এর কাছে তিনি নিজেই স্বীকার করেন যে, ২০১৮ সাল থেকেই তিনি গাঁজার প্রতি আসক্ত এবং গ্র‍্যাজুয়েশন পড়ার সময় থেকেই তিনি প্রতিনিয়ত এই মাদক সেবন করে আসছেন। এবার তার বিরুদ্ধে চলা গাঁজা পাচার কেসে কোনো প্রমাণ না মেলায় তাকে ক্লিনচিট দেয় NCB। আসলে গাঁজা সেবনের জন্য অত বড় শাস্তি হয়না মোটেই। তাই অবশেষে চিন্তার মেঘ সরেছে খান পরিবার থেকে।