Papiya Paul

দিদির মৃত্যুর পর আবেগপ্রবণ বোন, ছোটবেলার ছবি পোস্ট করে ভারাক্রান্ত আশা ভোঁসলে

সরস্বতী পূজার পরের দিন সকালেই সকলকে ছেড়ে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর(Lata Mangeshkar)। তিনি ছিলেন মঙ্গেশকার পরিবারের লক্ষী। বাবা মারা যাবার পর পরিবারের সকলের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন লতা। তবে চিরকালই লতা ও তার বোন আশা ভোঁসলের(Asha Bhosle) সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথাই উঠে আসতো। যদিও দুজনে দুজনের সম্পর্ক যে খুবই ভালো সেটা বারংবার প্রকাশ করেছেন।

   

আর এবার সমস্ত বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে লতার সঙ্গে তার শৈশবের ছবি শেয়ার করেছেন আশা ভোঁসলে। রবিবার শিবাজী পার্কের শ্মশানে লতাজির অন্তিম ক্রিয়ায় পরিবারের অন্যান্য লোক, অনুরাগী, বলিউডের সেলেবদের সাথেই উপস্থিত ছিলেন আশা। দিদির দিকে তাকিয়ে তার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। আর তাই গভীর রাতে শৈশবের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, ‘ছোটবেলাটাই দারুন ছিল।’ অর্থাৎ তার কাছে ছোটবেলার মুহূর্তগুলো সত্যিই মনে রাখার মত। এইজন্য দিদির মৃত্যুর পর ছোটবেলার স্মৃতি তিনি তুলে ধরেছেন।

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে একটি কাঠের পাটাতনের উপর বসে রয়েছেন আশা। আছে তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন লতাজী। এই ছবিতে ক্যাপশন এর পাশে তিনি ভালোবাসার ইমোজি দিতে ভোলেননি। আর এই ছবি পোস্ট করা মাত্রই অনুরাগী থেকে বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কমেন্ট করেছেন। হৃত্বিক রোশন একটি ভালোবাসার ইমোজি পোস্ট করেছেন। একসময় আশার ওপর সাময়িক রেগে গিয়েছিলেন লতা। কারণ লতার সেক্রেটারি গণপতরাও ভোঁসলের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন আশা। আর এই সেক্রেটারি আশার থেকে বয়সে ছিল দ্বিগুণ এবং এর আগেও তার বিবাহ হয়েছিল।

তবে এরপর কেটে গেছিল বহুদিন। অনেক জলঘোলা হয়েছে লতা ও আশার সম্পর্ক নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত আশাকে ক্ষমা করেছিলেন লতা। দিদিকে শেষ মুহূর্তে দেখতে যাবার জন্য ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গিয়েছিলেন আশা। কিন্তু তার বয়সের কারণে করোনার জন্য তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তবে দিদির মৃত্যুর পর প্রভুকুঞ্জের বাড়ি থেকে শিবাজী পার্ক এর শ্মশান পর্যন্ত শেষ যাত্রায় সঙ্গী ছিলেন আশা ভোঁসলে। হয়তো তিনি তার দিদিকে আর কখনো ফিরে পাবেন না কিন্তু তার সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আজীবন থেকে যাবে আশা ভোঁসলের হৃদয় জুড়ে।