পার্থ মান্নাঃ দুর্গাপুজো আসতে আর মাত্র কিছুদিন বাকি। আগামী ২রা অক্টোবর মহালয়া তারপরেই প্যান্ডেল হপিংয়ের প্রস্তুতি শুরু। রাস্তায় বেরোলেই দেখা যাচ্ছে চারিদিকে জোরকদমে চলছে প্যান্ডেলের কাজ থেকে শুরু করে লাইটিংয়ের কাজ। তিলোত্তমার জন্য প্রতিবাদের মাঝে কিছুটা হলেও উৎসবের সাজো সাজো রবের দেখা মিলেছে।
হুগলিতেই অযোধ্যার মত রামমন্দির
প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় একাধিক থিমের প্যান্ডেল তৈরী হয়। যা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়ে যায়। এবছরেও তেমনই কিছু প্যান্ডেলের খবর এখন থেকেই আসতে শুরু করেছে। জানলে অবাক হবেন এবার হুগলিতে দেখা যাবে অযোধ্যায়ের রাম মন্দির। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এবছর উদ্বোধন হওয়া অযোধ্যা রাম মন্দিরের আদলেই তৈরী হচ্ছে প্যান্ডেল। তাই ভিড় যে উপচে পড়বে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু কোথায় হবে এই প্যান্ডেল? জানতে হলে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
পুজোর থিমের জন্য কলকাতা প্রতিবছরেই নজর কাড়ে। তবে গতবছর কল্যাণী ITI থেকে বেলেঘাটা ৩৩ পল্লী, টালা প্রত্যয়, খিদিরপুর ২৫ পল্লী ও শ্রীভূমি নজর করেছিল। এবছরেও নানান থিমের প্যান্ডেল তৈরী হচ্ছে। তবে আইকনিক রাম মন্দিরের প্যান্ডেল তৈরী করে এবছর সাধারণ মানুষের নজর কাড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে হুগলির জিরাটের জিরাট সার্বজনীন দুর্গাৎসব কমিটি।
কোথায় দেখা যাবে রামমন্দিরের প্যান্ডেল?
যেমনটা জানা যাচ্ছে এবছর প্লাটিনাম জয়ন্তী বর্ষ হতে চলেছে জিরাট সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি। সেই কারণেই অভিনব প্যান্ডেল করার জন্য রাম মন্দিরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। জোর কদলে চলছে প্যান্ডেলের কাজ। প্যান্ডেল তৈরির জন্য পরিবেশ বান্ধব উপকরণ বাঁশ, ফোম থেকে শুরু করে ভেষজ রঙয়ের ব্যবহার করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০% কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
প্যান্ডেল নির্মাণের দায়িত্ব রয়েছে শিল্পী তপন কুমার পাত্রের উপর। তাঁর মতে, একমাস আগেই শুরু হয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। অযোধ্যার রাম মন্দির যতটা বড় ততটা এলাকা এখানে নেই, তবে অল্প জায়গাতেই যতটা সম্ভব সবটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা মণ্ডপে রাম, সীতা, হনুমান থেকে শুরু করে নারায়ণের মূর্তি থাকবে চারিদিকে। এছাড়াও ভেতরে থাকবে একটি ২৫ বাই ২৫ ফুটের বিশালাকার ঝাড়বাতি।
আরও পড়ুনঃ পুরো একবছরের রিচার্জ ফ্রী, পুজোর আগেই বাজার কাঁপানো অফার নিয়ে হাজির Jio
অযোধ্যা না গিয়েই হবে রাম মন্দির দর্শন
আসলে অনেক এমন মানুষ আছেন যারা অযোধ্যা গিয়ে রাম মন্দির দেখতে পারেননি। তাই তাদের জন্যই এই রাম মন্দির তৈরী করা হচ্ছে। যা বহু মানুষের সাধপূরণ। মণ্ডপ সাজানো থেকে পুজোর মোট খরচ আনুমানিক প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে বলে জানাচ্ছেন পুজো কমিটির সেক্রেটারি নীলাদ্রি মন্ডল। তাই এবছর বাড়ির কাছেই রাম মন্দির দর্শন করতে চাইলে ষষ্ঠী তো নবমীর মাঝে একবার জিরাট সার্বজনীন ঘুরে আসতেই পারেন।