আবারও নক্ষত্র পতন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। ৯১ বছর বয়সে সবাইকে বিদায় জানিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভূগছিলেন এই বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক। গত ১৪ জুন শারীরিকভাবে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়লে এসএসকএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু আর ফিরে আসেননি তিনি।
মাঝে কিছুটা সুস্থ হলেও তারপর আবার উত্তোরত্তর অবনতি হতে থাকে শারীরিক অবস্থার। এমতাবস্থায় গত রবিবার ভেন্টিলেশনে শিফট করা হয় তাকে। কিন্তু ভগবানের ইচ্ছে বোধহয় অন্যরম ছিলো। চিকিৎসকদের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে এই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।
তাঁর প্রয়াণের খবরে শোকাহত গোটা ইন্ডাস্ট্রি। রীতিমত ভেঙে পড়েছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, জীবনে আর এক বাবাকে হারালাম”। জানিয়ে রাখি, মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় জীবনে প্রবেশও তরুণ মজুমদারের হাত ধরেই। যে মানুষটার হাত ধরে হাতে খড়ি সেই মানুষটাই নেই, এখনও সত্যি বলে মানতেই পারছেননা অভিনেত্রী।
এই দুঃসংবাদে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। তিনি যেন মেনে নিতেই পারছেননা। তার চোখে মুখে এখনও আগের সেই সমস্ত স্মৃতি ভেসেই চলেছে। তার মনে পড়ছে কিভাবে বালিকা বধূ’র সেটে কিভাবে তরুণ মজুমদারের কাছে বকুনি খেয়ে কান ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। চরম শোকে কাতর অভিনেত্রী বললেন যে, “আমার জীবনে তিনজন বাবা, এক আমার বাবা, দ্বিতীয় আমার শ্বশুর, আর তৃতীয় আমার সিনেমার বাবা তরুণ মজুমদার। উনি আমার পিতৃসম”। তার কথা বলার সময়ও গলার স্বরে প্রকাশ পাচ্ছিল যে কতটা শোক দিয়েছে তাকে তরুণ মজুমদারের চলে যাওয়া।