খুব কম বয়সেই অভিনয় জগতে পা রাখেন আরাত্রিকা ওরফে খেলনা বাড়ির মিতুল। মাধ্যমিকের পরপরই টেলিভিশনে অডিশনের সুযোগ পেয়ে যান তিনি। সিলেক্টও হয়ে যান। এরপরই ঝাড়গ্রাম থেকে সোজা পৌঁছে যান কলকাতায়। এতো ছোটোবয়সে এতো কিছু, সফরটা ঠিক কেমন ছিলো তার?
খেলনা বাড়ির মিতুলকে তো সকলেই চেনেন, স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক এটি। সদ্য সদ্যই শুরু হয়েছে সিরিয়ালটি। আর এসেই সকলের মন জয় করে নিয়েছে ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র মিতুল রানি। আসলে সিরিয়ালের চিত্রনাট্য আর কলাকুশলীদের অভিনয়, সবে মিলিয়ে সিরিয়াল প্রেমীদের ধরে রেখেছে ‘খেলনা বাড়ি’।
সে তো গেল ধারাবাহিকের কথা, কিন্তু কে এই মিতুল, যে আসামাত্রই জাদু করেছে বাঙালিকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঝাড়গ্রামের এই ছোট্ট মেয়েটির পরাচয় আর কিভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে পৌঁছালো সে! প্রসঙ্গত, পর্দার মিতুল রানির আসল নাম হলো আরাত্রিকা মাইতি। গত বছরের লকডাউনে কলকাতায় এসেছিলেন অডিশন দেওয়ার জন্য। আর অভিনয়টা ছোটো থেকেই রপ্ত করেছিলেন বলেই প্রথম বারেই সিলেক্টও হয়ে যান। এরপরই বাবা মায়ের সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে কলকাতায় শিফট হয়ে যান।
তিনি প্রথম অডিশন দেন মাধ্যমিকের পরেই, সেই সময় ‘রানী রাসমণি’ ধারাবাহিকে একটা ছোটো রোলের জন্য সিলেক্ট করা হয় তাকে। এরপরই তিনি সুযোগ পান অগ্নিশিখা ধারাবাহিকে। সান বাংলায় সম্রচারিত এই ধারাবাহিকে শিখার চরিত্রে দেখা গিয়েছিলো তাকে। এই সময়টা আরাত্রিকার জনপ্রিয়তা এতোটাই বাড়ে যে কলকাতা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনন্সিটিউটেও কাজ করার সুযোগ পেয়ে যান তিনি।
এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দিনকয়েক পরেই ‘খেলনা বাড়ি’-র অফার আসে তার কাছে। এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র মিতুলের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ মেলে তার। প্রসঙ্গত ‘খেলনা বাডি’তে আরাত্রিকার সাথে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিশ্বজিৎ। এইমুহুর্তে দুই জনের অনস্ক্রিন রোমান্স একেবারে জমে উঠেছে। তাদের মাখো মাখো প্রেম দারুন উপভোগ করছে দর্শকমহল।
ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী মাটির পুতুল বিক্রি করে গোটা সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছে মিতুল। পাশাপাশি একটি অনাথ মেয়ের দায়িত্বও রয়েছে তার কাঁধে। একটা মেয়ের জীবন সংগ্রাম নিয়েই এই ধারাবাহিকের গল্প।