Viral Badam Kaku

Moumita

চুরি গিয়েছিল সাধের আইফোন! এই কারণের জন্য ভিটেমাটি ছেড়ে বেরিয়ে এলেন ‘বাদাম কাকু’

আজকের দিনে যে সোশ্যাল মিডিয়া(Social Media) এক ব্যক্তির জীবনযাত্রার আমূল পরিবর্তন এনে দিতে পারে তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ ভুবন বাদ্যকর(Bhuban Badyakar)। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে তার গোটা জীবনটাই বদলে গেছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যের বিষয় হল, সোশ্যাল মিডিয়া তাকে কাঙ্খিত দৌলত এনে দিলেও তা তিনি আর ভোগ করতে পারছেননা।

   

বীরভূমের দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুড়ালজুড়ি গ্রামে শখ করে বাড়ি তৈরী করলেও এখন আর সেই গ্রামে থাকেননা তিনি। তার সাধের বাড়ি পড়ে রয়েছে তালাবন্ধ অবস্থায়। এখন ভুবনের ঠিকানা দুবরাজপুর শহরের ভাড়া বাড়ি। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?

সম্প্রতি এই প্রশ্ন নিয়েই তার কাছে পৌঁছেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। একরাশ ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন, ‘‘মানুষ ভাবেন যে, ‘কাঁচা বাদাম’ গান ভাইরাল হওয়ার পর আমার অনেক টাকাপয়সা হয়েছে। কিন্তু আমার টাকাপয়সা বেশি নেই। যেটুকু পেয়েছি বাড়ি করে ফেলেছি। তবু অনেকে ভাবেন যে আমার অনেক টাকা হয়েছে।’’

ভুবন বাবুর অভিযোগ, দাবি মতো’ টাকাপয়সা না দিতে পারায় বাড়ি থেকে তার আই ফোন নিয়ে চলে গিয়েছিল কয়েক জন। তার কথায়, ‘আমার ফোন নিয়ে চলে গিয়েছিল, তাই এখানে পালিয়ে এসেছি। ওরা আমার কাছে পয়সা চেয়েছিল। দিতে পারিনি। তার পর আমি যখন শুয়েছিলাম তখন আমার আই ফোন নিয়ে পালিয়েছিল।’

ভুবন বাবুর কথা অনুযায়ী, তার ছেলে এখন দুবরাজপুর একটি চাকরি করেন। সেই টাকাতেই তাদের দিন গুজরান হচ্ছে এখন। এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আখিরুল হোসেন খানের সাথে কথা বললে, তিনিও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। তার কথায়, ‘‘ভুবনদা মানে সকলের ‘বাদাম কাকু’ এই গ্রামের ছেলে। আমরা চাই, গ্রামে ফিরে আসুন।”

তিনি আরো বলেছেন, ‘উনি এক জন সত্যিকারের শিল্পী। আমরা চাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে আসুন। উনি যখন টাকা আয় করছিলেন, তখন ওর থেকে অনেকে সাহায্য নিয়েছিলেন। এর পর ওর মোবাইলও কেউ নিয়ে নিয়েছিল, সেটা শুনেছি। পরে উনি তা ফেরত পেয়েছেন।’ গ্রামবাসীদের আর্তির কথা শুনে ভুবনের বক্তব্য, ‘‘গ্রামের মানুষ তো চাইবেনই যে আমি ফিরে যাই। কারণ, গ্রামের মানুষ আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। তারা আমাকে ভালবাসেন।’