নিউজ শর্ট ডেস্ক: সিকিম (Sikkim) মানেই ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের কাছে তথা পাহাড় প্রেমীদের কাছে এক কথায় স্বর্গ। বছরে একবার হলেও পাহাড়প্রেমীরা ব্যাগপত্র গুছিয়ে এক ছুটে চলে যান পাহাড়ের কোলে ছুটি কাটাতে। তবে সিকিম ঘুরতে গেলে পর্যটকদের এনজিপি স্টেশন নামা ছাড়া আরও কোনো উপায় নেই। তবে শুধু সিকিম নয়, দার্জিলিং কিংবা কালিম্পং যাওয়ার জন্য-ও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই এনজিপি স্টেশন (NJP Station)।
এমনকি এই স্টেশনটিকে উত্তরবঙ্গের প্রবেশ দ্বার-ও বলা হয়ে থাকে। তবে সিকিম যেতে গেলে এনজিপি স্টেশনে নামার পর আরও প্রায় চার ঘন্টার গাড়ি জার্নি করতে হয়। সিকিম তাই এবার পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাতেই দারুন উদ্যোগ নিয়েছে ভারতীয় রেল। যার ফলে আগামী দিনে সোজা কলকাতা থেকেই এক ট্রেনে পৌঁছানো যাবে সিকিম। এই মুহূর্তে সিকিমের রংপো রেলস্টেশনের (Rangpo Railway Staion) কাজ চলছে জোর কদমে।
মূলত তিনটি পর্যায়ে করা হচ্ছে এই রেল স্টেশন তৈরির কাজ। প্রথম পর্যায়ে সেবক রংপো, দ্বিতীয় পর্যায়ে রংপো থেকে গ্যাংটক এবং তৃতীয় পর্যায়ে গ্যাংটক থেকে সোজা নাথুলা পর্যন্ত পাতা হবে রেল লাইন। রেল সূত্রে খবর প্রাথমিক পর্যায়ে চীন সীমান্তবর্তী এই সিকিম রেল প্রজেক্টর কাজ শেষ হলে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা-ই উন্নত হবেনা।
সেই সাথে আরও জোরদার হবে দেশের জাতীয় প্রতিরক্ষা অ্যাজেন্ডাও। জানা যাচ্ছে সেবক থেকে রংপো রেল প্রকল্পের জন্য ৮৫৫ মিটার দীর্ঘ জরুরি প্রস্থান টানেলের কাজ শেষ হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই প্রকল্পের আওত্তায় সিকিমকে প্রথমবার ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। রেল সূত্রে খবর টানেলের ২০ মিটার অংশ জাতীয় সড়ক-১০ এর নীচে তিস্তা নদীর কাছেই অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ভারতীয় রেলের বড়সড় উদ্যোগ! বিশেষ যাত্রীদের কষ্ট কমাতে এবার বসছে স্পেশ্যাল ক্যাম্প
কিন্তু মাটি নরম হওয়ায়, এই মাটিতে খননকার্য করাই প্রথম থেকেই এই প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। যদিও সেই কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। রেলসূত্রে খবর তারা ‘সেকেন্ড পাইলিং পদ্ধতি’ ব্যবহার করে এই কাজ করেছেন।
এক রেল আধিকারিকের কথায় ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি দ্বারা এটি পরীক্ষা করার পরে, ইরকন কর্মকর্তারা খনি অপারেশনের দক্ষতা ব্যাখ্যা করে একটি কেস স্টাডি করেছিলেন। জানা গেছে মোট ৪৪.৯৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেল লাইন হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ টি টানেল এবং ২২ টি সেতু থাকবে। এই সিকিম রেল প্রজেক্টের কাজ শেষ হলে যে যে স্টেশনগুলি থাকবে সেগুলি হল সেবক, রিয়াং, তিস্তা বাজার, মেল্লি এবং রংপো।