Papiya Paul

৪০০ বছরে ১ বার চালানো হয় বিশ্বের সবথেকে বড়ো কামান! ভারতে তৈরী এই কামানের গোলা যেখানে পড়ে সেখানে তৈরি হয় পুকুর

কামান হলো এমন একটি অস্ত্র, যেটি যুদ্ধের সময় ব্যাপক প্রয়োজন পড়ে। শত্রুদের নিমেষের মধ্যে ঘায়েল করার জন্য বহুকাল আগে থেকেই কামানের গোলা ব্যবহার করা হতো। এটিকে শতাব্দীর সবচেয়ে প্রাচীন ও শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে গণ্য করা হতো। ভারতে এমন একটি পুরনো কামান রয়েছে। যেটি ৪০০ বছরে একবার গোলা দাগে। ভারতে এই কামানটির নাম হল ‘জয়বান’। এটি জয়পুরের দুর্গে রাখা রয়েছে। আবার এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কামান হিসেবে ধরা হয়।

   

জানা গিয়েছে, কামানের ব্যবহার শুরু হয়েছিল ১৩ এবং ১৪ শতকে। ১৩১৭ খ্রিস্টাব্দে ইউরোপে প্রথম কামান ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। এমনকি জানা যায়, বাবর পানিপথের প্রথম যুদ্ধে কামান ব্যবহার করেছিলেন। আবার ভারতে যে বহু শতাব্দী পুরনো কামানটি রয়েছে সেটির ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে জয়পুরের দুর্গে স্থাপন করা হয়েছিল। এই কামানটি তৈরি করেছিলেন রাজা জয় সিং, যিনি জয়পুরের দুর্গের প্রশাসক ছিলেন। তিনি তার দেশকে নিরাপত্তার জন্য এটিকে এনেছিলেন।

তবে এ কামারটি কখনোই দুর্গ থেকে বের করা হয়নি। এমনকি কোন যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। এর কারণ এটি ওজনে বেশ ভারী। প্রায় ৫০ টন ওজন আছে বলে এটিকে মনে করা হয়। এটিকে একটি দু’চাকার গাড়ির উপরে রাখা হয়। যে চাকার ব্যাস প্রায় সাড়ে ৪ ফুট। এছাড়া এই গাড়িতে আরো দুটো চাকা বসানো রয়েছে। সেই অতিরিক্ত চাকার ব্যাস প্রায় ৯ ফুট। প্রায় ৫০ কেজি গোলা ব্যবহার করা হয় এই কামানে। এই কামানের ব্যারেলের দৈর্ঘ্য ৬.১৫মি।

প্রত্যেক বছর দশেরার দিনে কামানের পুজো করা হয়। এই কামানটিকে একবারই পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেই কামান থেকে গুলি ছোড়া হলে তা প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে চাকসু নামে একটি শহরে পড়ে। যেখানে এই কামানের বল পরে সেখানে একটি বড় পুকুর তৈরি হয়ে যায়। এই পুকুরে এখনো জল রয়েছে। এমনকি সেই এলাকার লোকেরা এখনো তাদের দৈনন্দিন কাজে এই পুকুরের জল ব্যবহার করা বলে জানা গিয়েছে।