আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরেই ৩৩ পেরিয়ে ৩৪ শে পা রাখতে চলেছে বাবু। আট থেকে আশি সকলেরই প্রিয়পাত্র সে। আলিপুর চিড়িয়াখানায় তার বেজায় নামডাক। শুধুমাত্র তাকে দেখতেই যে কত মানুষ ভিড় জমায় তার ইয়ত্তা নেই। আর এবছর তার জন্মদিন উপলক্ষ্যেই গ্র্যান্ড পার্টির আয়োজন করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই ছাপানো হয়েছে রঙচঙে নিমন্ত্রণ পত্র। শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের আমন্ত্রণ জানানোও শুরু হয়ে গেছে। কার্ড পৌঁছে গেছে বাবুর অভিভাবক সোহিনী সেনগুপ্ত ও সপ্তর্ষি মলিকের কাছেও। তারাই যে বাবুর বাবা-মা। ছেলের জন্মদিনে কী বিশেষ পরিকল্পনা করলেন টলিপাড়ার এই তারকাদম্পতি?
ছেলের জন্মদিন বলে কথা, আর বাবা মায়ের প্ল্যানিং থাকবেনা তাই কখনও হয়? সূত্রের খবর, বাবুর ৩৪ বছর বয়স উপলক্ষে কাটা হবে কেক। পাশাপাশি মেনুতে থাকবে তার পছন্দের রকমারি খাবার। তালিকায় রয়েছে গাজর, আপেল, তরমুজ, খেজুর, দুধ-পাউরুটি, তরমুজের মতো আরও অনেক কিছু। এইমুহুর্তে আলিপুর চিড়িয়াখানায় রীতিমত সাজো সাজো রব।
এযাবৎ ২৬ অক্টোবরের প্রোগ্রাম সম্পর্কে যতটুকু জানা গেছে তা হলো, সেইদিন সক্কাল সক্কাল বাবুকে স্নান করিয়ে পরিস্কার করে পরিপাটি করে সাজিয়ে দেবে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। কারণ ঐদিন চিড়িয়াখানায় উপস্থিত থাকবেন বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সবথেকে বড়ো কথা সেইদিন বাবা-মা সোহিনী-সপ্তর্ষিও আসছে যে।
এই প্রসঙ্গে সোহিনীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান ছেলের জন্য রয়েছে বিশেষ প্ল্যান। অভিনেত্রীর কথায়, “বাবুর পছন্দের খাবার নিয়ে যাব আমরা। আমন্ত্রণপত্র আগেই পেয়েছি। আলিপুর চিড়িয়াখানায় শুধু বাবু নয়, সব পশুদেরই খুব যত্ন নেওয়া হয়। আশীষ সামন্তও ওকে খুব ভালবাসেন। তাই বাবুর জন্মদিনে এই এলাহি আয়োজন করেছেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত আমার খুবই ভাল লেগেছে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতবছরের জানুয়ারি মাসেই একটি শিম্পাঞ্জি দত্তক নিয়েছেন এই তারকা দম্পতি। তারই নাম হচ্ছে বাবু। তারপর থেকেই প্রতিমাসে ছেলের জন্য একটা খরচ পাঠিয়ে দেন চিড়িয়াখানায়। তার খাওয়া দাওয়া, দেখভাল সব ঐ টাকাতেই হয়। সোহিনী-সপ্তর্ষি জানান এই টাকার অঙ্ক খুব কম হলেও তারা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করেন। পাশাপাশি আরো মানুষকেও এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেছেন তারা।