নিউজশর্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা শিক্ষক নিয়োগের মামলার সুরাহা হল। ৯ বছর পর অবশেষে জট কাটল উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের (SSC Upper Primary Recruitment)। আজ কলকাতা হাইকোর্টের রায় প্রকাশ্যে আসতেই খুশির হাসি হাসলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ১৪,০৫২ টি পদে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের তরফ থেকে।
আজ বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে জানানো হয় আগামী ১ মাস বা চার সপ্তাহের মধ্যেই মেধা তালিকা প্রস্তুত করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC)। এরপরেই নিয়োগের জন্য কাউন্সিলিং শুরু হবে।
এদিন মামলার শুনানির পর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘SSC উচ্চ প্রাধমিকের নিয়োগের মামলায় যে আফটার ‘ইন্টারভিউ ওএমআর’ আসন পুনর্মূল্যায়নের ফলে ১৪৬৩ জন প্রার্থীকে বাতিল করেছিল তা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। তাদেরকেও নতুন মেধা তালিকায় জায়গা দিতে হবে। তারপর সব মিলিয়ে ১৪০৫২ জনের মেথতালিকা প্রকাশ করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ১৬ই অগাস্ট আপার প্রাইমারি টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এই পরীক্ষায় ২০১১ টেট ও ২০১৫ টেট প্রার্হতিরাও বসেছিলেন। এরপর ২০১৯ সালের জুন মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় পার্সোনালিটি টেস্টের জন্য। সেখানেই নথি যাচাই না করে নিয়োগ হচ্ছে বলে মামলা করা হয়। তারপর SSC এর তরফ থেকে ইন্টারভিউ ক্যানডিডেট লিস্ট প্রকাশ করা হলে তাতেও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই থেকেই চলছে মামলা।
শুরুতে ১৪ই মার্চ ২০১৯ সালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা হয়েছিল। যার রায় ঘোষণা হলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। ফের চাও হয় অনলাইন ভেরিফিকেশন, এবারেও একাধিক অভিযোগ ওঠে। আবারও মামলা হয়, যেটা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে আসে। সেই সময় বিচারপতি প্রথমে ইন্টারভিউ লিস্টের উপর স্থগিতাদেশ দিলেও পরে সেটা ‘গ্রিভান্স মেকানিসম’ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান নেয়নি। ২০২১ এর জুলাই মাসে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ডিভিশনে বেঞ্চ নির্দেশ দেয় ইন্টারভিউ পক্রিয়ায় জন্য। এর ২ বছর পর ১৬ই অগাস্ট ১৩,৩৩৩ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ্যে আসে। কিন্তু বিচারপতি তালুকদার অবসর নিয়ে নেন, ফলে কেস মামলা আসে বিচারপতি সৌমেন সেনের কাছে। তাঁর নির্দেশেই মেধা তালিকা অন্তর্ভুক্ত প্রার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও মামলা চলছিল। যার অবসান হল এতদিনে। আশা করা হচ্ছে পুজোর আগেই সমস্ত পক্রিয়া দ্রুত কমপ্লিট করে নেওয়া হবে।