Papiya Paul

ভারতের দীপাবলিতে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি চীনের

দুর্গাপুজো মিটতে না মিটতে চলে এলো কালীপুজো। আলোর রোশনাই সেজে উঠবে সম্পূর্ণ ভারত বর্ষ। তবে টুনি লাইটের দ্বারা না, এবছরের কালীপুজো সেজে উঠবে মাটির প্রদীপে। গতবছর চীনের সাথে ভারতের সংঘর্ষের পর এক প্রকার চীনকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আত্মনির্ভরশীল হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই পথেই হাঁটবে বাঙালি তথা সম্পূর্ণ ভারত বর্ষ।দীপাবলীর আগে ভারতীয়রা বড়সড় ধাক্কা দিল চীনকে। প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ল চীন। এই প্রসঙ্গে কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স- এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চীনের সামগ্রী প্রত্যাখ্যান করার জন্য এই উৎসবের মরসুমে বেইজিংকে ৫০,০০০ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

   

CAIT জানিয়েছে, উৎসবের মরসুমে দেশজুড়ে কেনাবেচা আগের বছরের থেকে অনেকটাই বেড়ে গেছে। করোনা নামক মহামারীর ভয় না পেয়ে মানুষ মেতে উঠতে চলেছে আনন্দে। এর ফলে গ্রাহকদের পাশাপাশি খুশি হয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা
এই বছর দেশীয় ব্যবসায়ীদের ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য চিনা সামগ্রী বহিষ্কার করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর ফলে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে।

CAIT-র সর্বভারতীয় সভাপতি বি.সি ভরতিয়া বলেন, CAIT-র রিসার্চ শাখা দ্বারা দেশের কয়েকটি রাজ্যের ২০টি শহরে যে সমীক্ষা করা হয়েছিল সেখানে জানা গিয়েছে, এই বছর ভারতীয়রা দীপাবলি পালনের জন্য চীনের কোনও সামগ্রী কিনতে চাইছেন না। উল্টে তাঁরা ভারতীয় সামগ্রী কিনে ভারতের অর্থনীতিতে যোগদান করছে।

সভাপতি আরো জানান, এর আগে প্রতিবছর কালীপূজা থেকে ক্রিসমাস, প্রত্যেকটি উৎসবে ভারতীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে আমদানিকারীরা চীন থেকে প্রায় ৭০ হাজার টাকার জিনিস আমদানি করত। কিন্তু সে সব এখন অতীত। চলতি বছরে রাখি উৎসবের সময় চীনের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও গণেশ চতুর্থীতে ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল চীনকে। প্রধানমন্ত্রীর আহবান যে এই ভাবে সফল হবে তা হয়তো ভাবতে পারেনি কেউ। এই একইভাবে ব্রিটিশ শাসন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছিল ভারত বর্ষ আর এবার চীনকে অর্থনীতির দিক থেকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল ভারত বর্ষ।