Food

Food: মাত্র ২২ টাকাতে মাংস-ভাত! আজই খেয়ে আসুন পেট ভরে, ঠিকানা জানেন তো?

নিউজ শর্ট ডেস্ক: এই মূল্য বৃদ্ধির বাজারে সময়ের সাথেই পাল্লা দিয়ে দাম বেড়ে চলেছে সমস্ত জিনিসেরই। বাজারের আনাজ পাতি  থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত খাবার জিনিসের দাম এখন যথেষ্ট বেশি। বিশেষ করে নামি দামি হোটেল রেস্তোরাঁয় গেলেও খাবার-দাবারের দাম দেখলেই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হয়।

কিন্তু জানলে অবাক হবেন আজকের দিনেও মাত্র ২২ টাকাতেই পাওয়া যায় মাংস ভাত (Meat Rice)। আর মাত্র ২১ টাকায় মাছভাত (Fish Rice) দিচ্ছে বহু চিপ হোটেল (Cheap Hotel)। আর এই সমস্ত হোটেলগুলি রয়েছে ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour)। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। সত্যিই আজকের দিনে এত কম টাকায় মাছ মাছ ভাত কিংবা মাংস ভাতের কথা ভাবাই যায় না।

তাই এত কম টাকায় মাছ ভাত কিংবা মাংস ভাত পেয়ে অনেকেই আসেন এই সমস্ত ক্যান্টিন গুলোতে। দাম যথেষ্ট কম হওয়ায় সারাদিনে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন ব‍্যক্তি খাবার খেতে আসেন এই সমস্ত ক্যান্টিনে। আর সব মিলিয়ে মোট প্রায় ৫০০ জন ব্যক্তি এই চিপ ক্যান্টিন থেকে প্রতিদিন মধ্যাহ্নভোজন করতে আসেন।

খাবার,Food,মাংস ভাত,Meat Rice,মাছ ভাত,Fish Rice,সস্তার খাবার,Cheapest Food,বাংলা খবর,Bangla Khobor,Bengali Khobor,Bangla,Bengali

ডায়মন্ড হারবারের লাল পোল পেরিয়ে স্থানীয় যে কোন কাউকে জিজ্ঞেস করলেই নাকি তাঁরা দেখিয়ে দেবেন বিখ্যাত এই চিপ ক্যান্টিন গুলি। তবে একটা দু’টো নয় এখানে পরপর বেশ কয়েকটি চিপ ক্যান্টিন রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম ঘোষ চিপ ক্যান্টিন, দীপক চীপ ক‍্যন্টিন ও ভোলা চিপ ক‍্যন্টিন। আর এই সমস্ত ক্যান্টিনগুলি এক দু বছরের নয় চলছে প্রায় ৩০ বছর ধরে।

আরও পড়ুন: আজও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে এই গ্রাম! প্রবেশ করা গেলেও ছোঁয়া যায় না কিছুই, কেন এমন অদ্ভুত নিয়ম?

এই সমস্ত সস্তার হোটেলে তাই মাছ ভাত খেতে প্রতিদিন ভিড় জমান শয়ে শয়ে মানুষ। জানলে অবাক হবেন প্রথম দিকে এখানেই দু টাকা ৫০ পয়সায়  মিলতো মাছ ভাত। তবে এখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথেই এখানকার মাছ ভাতের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে বাইশ টাকায়। আর এখন শুধু মাছভাত নয় সেই সাথে পাওয়া যায় মাংস ভাত-ও।

খাবার,Food,মাংস ভাত,Meat Rice,মাছ ভাত,Fish Rice,সস্তার খাবার,Cheapest Food,বাংলা খবর,Bangla Khobor,Bengali Khobor,Bangla,Bengali

কিন্তু এত কম টাকায় তারা খাবার দিচ্ছেন কি করে? এ প্রসঙ্গে ঘোষ চিপ ক্যান্টিনের মালিক সমীর ঘোষ জানিয়েছেন তারা মূলত বাইরের কোন শ্রমিক রাখেন না। নিজেরাই বাজার ঘাট থেকে শুরু করে আনাজ কাটা, রান্না বান্না সবটাই করেন পরিবারের সদস্যরা মিলে। সেই জন্যই তারা এত কম দামে এই খাবার পরিবেশন করতে পারেন। তাদের মূল লক্ষ্য সাধারণ মানুষের মুখে খুবই সামান্য মূল্যে আহার তুলে দেওয়া।  আর সেই লক্ষ্যেই তারা বছরের পর বছর ধরে সস্তায় খাবার দিয়ে চলেছেন। যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।

Avatar

anita

X