Papiya Paul

প্রসেনজিৎ খুব প্রভাবশালী, ওর বিরুদ্ধে বলার কারোর সাহস নেই! বিস্ফোরক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী

বলিউডের অন্দরে যেমন অনেক কাহিনী শুনতে পাওয়া যায়। ঠিক তেমনি টলিউডের অন্দরেও এমন অনেক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ থাকে। একসময় বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। সেই সময় বহু সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। নব্বইয়ের দশকে বাংলা সিনেমা বলতেই বোঝানো হতো চার সুপারস্টারকে। যারা হলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, অভিষেক চ্যাটার্জী, তাপস পাল ও চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। তবে এই অভিনেতাদের জীবনেও অনেক ক্ষোভ ছিল।

   

বেশ কিছু বছর আগে জি বাংলার অপুর সংসার এসে জীবনের কথা মন খুলে বলেছিলেন চিরঞ্জিত। তিনি এদিন এসে সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, তার সুন্দর এই আঁকার হাত তিনি বাবার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। কারণ তার বাবা বিখ্যাত কার্টুনিস্ট শৈল চক্রবর্তী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই বাবার কাছ থেকেই আঁকার অনুপ্রেরণা পান তিনি। এই অভিনেতা কর্পোরেট চাকরি ছেড়ে অভিনয়ের মঞ্চে যোগ দিয়েছিলেন। তবে চিরঞ্জিত মনে করেন এখন ইন্ডাস্ট্রিতে কোন স্টার নেই।

কারণ তিনি মনে করেন যার মধ্যে স্টারডম থাকে সে কখনোই প্রডিউসারের পিছনে ঘুরবে না। তারা ডিরেক্টরের পেছনে ঘোরে না। তিনি এটাও মনে করেন দেব বা জিৎ স্টার হতে পারে না কারন তারা নিজেরাই নিজেদের ছবি প্রডিউস করে। তারমধ্যে স্টার বলতে রাজেশ খান্নাকে বোঝায়। তিনিও একসময় স্টারডম পেয়েছিলেন কিন্তু সেটা ধরে রাখতে পারেননি একথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। আবার মজা করে এটাও বলেন যে যিনি শুটিং সেটে সময়মতো পৌছাতে পারেনা তাকে স্টার বলা যায় না। এর মাধ্যমে তিনি ইন্ডাস্ট্রির ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে বুঝিয়েছেন।

এরপর তিনি আবার বলেন, সবাই বলে যে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিকে একা তিরিশ বছর ধরে টেনেছেন প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে তার উত্তর, “আমি বা অন্য কেউ কি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলাম না, আমরা কি তখন কাজ করছিলাম না? এটা আসলে প্রচারের আলোয় আসার কাজ। ও খুব সফল একজন ব্যক্তিত্ব এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি ইন্ডাস্ট্রির নাড়ি-নক্ষত্র চেনে ও। ও প্রচণ্ড ইনফ্লুয়েন্সিয়াল। ওর বিরুদ্ধে ইন্ডাস্ট্রিতে কোনো কথা বলা যায়না।”

প্রসঙ্গত, চিরঞ্জিত দীর্ঘদিন অস্কারজয়ী পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের অবজার্ভার হিসেবে কাজ করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন।