তারকাদের জীবন মানেই ব্যস্ত শিডিউল, আজ এখানে শুটিং তো কাল ওখানে। সারাটা বছরই তাদের ছুটতে হয় এই দেশ থেকে ঐ দেশে তো কখনও আবার এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে। তবে এসবের মাঝেই পুজোর কটা দিন চুটিয়ে আনন্দ করেন তারা। দুর্গাপুজোর পরেই লক্ষ্মীপুজো আর তারপরেই দীপাবলি এবং ভাইফোঁটা। তবে আপাতত লক্ষ্মী পুজো নিয়েই ব্যস্ত দেবলীনা কুমার।
আসলে দু বাড়ির পুজো সামলাতে সামলাতে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয় তার। তবে কাজের মধ্যেও এই পুজোটখ ভালবেসেই করেন দেবলীনা। পেশায় একজন নৃত্যশিল্পী তিনি তবে নাচের পাশাপাশি টুকটাক অভিনয় করতেও দেখা গেছে তাকে। এদিকে বাবা দেবাশীষ কুমার রাজ্যের বিধায়ক আর বিয়ে হয়েছে ঐতিহ্যবাহী চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। উত্তম কুমারের নাতবৌ যে তিনি।
বিয়ের পর থেকেই দুই বাড়ির লক্ষ্মী পুজোর সমস্ত দায়িত্ব তার কাঁধেই। বাড়ির পাশাপাশি নাচের স্কুলেও হয় পুজো, আর সেই দায়িত্বও থাকে দেবলীনার কাঁধেই। একদিকে বাপের বাড়ি অপরদিকে শশুরবাড়ি এবং স্কুলের পুজো, দক্ষ হাতে চারিদিক একাই সামলান এই তারকা। তবে এতকিছুর মধ্যে একটাই সুবিধা যে দুই বাড়ির মধ্যে দূরত্ব মাত্র মিনিট পাঁচেকের।
এইদিন পুজো প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, শনিবারই শ্বশুরবাড়িতে প্রতিমা এসেছে। মাকে বরণ করে সকালে নিজের স্কুলের পুজোর প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি। জানালেন পুজোর মেনুও। শশুরবাড়ি মূলত ঘটি হওয়ার কারণে সেখানে অন্নভোগ হয়না। ভোগ হিসেবে রয়েছে লুচি, আলুর দম এবং ধোকার ভালনা। অপরদিকে স্কুলের পুজোয় ভোগ রয়েছে, পোলাও, পাঁচ রকম ভাজা, ছানার ডালনা, পায়েস।
বিয়ের পর এটা তার দ্বিতীয় লক্ষ্মী পুজো। গত বছরও বেশ নিষ্ঠার সাথেই সম্পন্ন করেছিলেন কাজকর্ম। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির লক্ষ্মী পুজোর নামডাক তো কারোরই অজানা নয়। স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমারের হাত ধরে শুরু হয়েছিলো এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। সেই পরম্পরা বজায় রেখেছে নাতী গৌরবও। এইদিন মা লক্ষ্মীকে বরণ করার ছবিও শেয়ার করেছেন দেবলীনা-গৌরব।
উত্তম কুমার ঠিক যে আসনে বসে পুজো করতেন সেই আসনে বসেই পুজো করেন তিনিও। নিয়ম থেকে বাদ যাননি স্ত্রী দেবলীনাও। গত বছরও লাল পাড় সাদা শাড়ি, সোনার গয়না, সিঁথি ভর্তি সিঁদুরে সেজে উঠেছিলেন দেবলীনা। নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন পুজোর যাবতীয় দায়িত্ব। বাড়ির বাকি বৌদের সাথে পুজোর ঘট স্থাপন করেছিলেন। পালন করেছিলেন সমস্ত নিয়মও।