সেই কোন নব্বইয়ের দশকে টলিপাড়ায় (Tollywood) পা রেখেছিলেন। ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে প্রসেনজিৎ-র মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করে জিতেছিলেন সবার মন। পুঁচকে মেয়ের দুষ্টু মিষ্টি হাসি আর দূর্ধর্ষ অভিনয় দেখে অবাক হয়েছিলেন খোদ প্রসেনজিৎ-ও (Prosenjit Chatterjee)। এতক্ষণে বোধহয় বুঝেই গেছেন যে, আজ আমাদের আলোচ্য ব্যক্তিত্ব হলেন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী (Srabanti Chatterjee)।
সেদিনের সেই ছোট্ট শ্রাবন্তী আজকের দুঁদে নায়িকা। ‘মায়ার বাঁধন’ ছবির পর বদলেছে অনেক কিছু। ১৯৯৭ সালে প্রসেনজিৎ-র অনস্ক্রিন মেয়ে আজ অনস্ক্রিন নায়িকা। এই গোটা জার্নিটাকে কীভাবে দেখেন শ্রাবন্তী? সম্প্রতি এই নিয়েই খোলামেলা আড্ডায় বসেছিলেন নায়িকা।
আসলে ‘কাবেরী অন্তর্ধান মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই একটি মিম ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। সেই মিমে রয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। দুটি আলাদা যুগের ছবি। একটি ১৯৯৭ সালের, অপরটি ২০২৩-র। সম্প্রতি সেটা নিয়েই প্রশ্ন করা হয়েছিল শ্রাবন্তী চ্যাটার্জীকে।
অভিনেত্রী জানান, ‘ভীষণই মজার বিষয় কিন্তু এটা। বুম্বাদার সঙ্গে আজীবন সম্পর্ক আমার ভীষণই ভাল ছিল। অনেক জায়গায় দেখা হয়েছে বারংবার। ‘মায়ার বাঁধন’-এর পর অনেকবার আমাদের কথা হয়েছিল একসঙ্গে কাজ করব। কিন্তু ডেটের সমস্যা, আরও অনেক সমস্যার কারণে হয়ে ওঠেনি। তারপর ‘কাবেরী অন্তর্ধান’ ঘটে গেল।’
শ্রাবন্তীর কথায়, ‘মিম করা তো এখন এটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের মিম দেখলে আমার খুব ভাল লাগে। আমাদের জার্নিটা দেখাচ্ছে এই মিমটায়, যে কতগুলো বছর ধরে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। দেখাচ্ছে আমাদের কতদিনের সম্পর্ক। বুম্বাদা তো ‘মায়ার বাঁধন’-এ শুটিংয়ের সময় বলেছিলেন, “তুই হয়তো কোনওদিন আমার হিরোইন হবি।”
পাশাপাশি তিনি এটাও জানান যে, সেই সময় তার হেয়ারস্টাইলের কারণে প্রসেনজিৎ নাকি তাকে লেডি ডায়না বলে ডাকতেন। এমনকি এখনও তাকে আগের মতোই ট্রিট করেন প্রসেনজিৎ। শ্রাবন্তীর কথায়, ‘একটা সময় ছিল আমি যখন বুম্বাদার পিঠে উঠে ঘুরতাম। বুম্বাদা বলতেন, এখনও তোকে পিঠে নিয়ে ঘুরি?’ সবে মিলিয়ে একথা স্পষ্ট যে এই ২৬ বছরের জার্নিটাকে ভালোই উপভোগ করছেন নায়িকা শ্রাবন্তী।