বলিউডের এক সময়কার হিট পরিচালক ছিলেন তিনি। যদিও বয়কটের চাপে পড়ে এখন সিনেমাতে হাত দিতেই ভয় পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা বিতর্ক। স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক থেকে মেয়ের বয়সী নায়িকার সাথে প্রেম এমনকি নিজের মেয়ের সাথে অবাধ যৌনতায় মেতেছেন মহেশ ভট্ট।
হিন্দু বাবা আর মুসলিম মায়ের সন্তান তিনি। যদিও ছোট থেকে বাবার ভুমিকার সাথে অবগত হতে পারেননি তিনি। মায়ের শিক্ষাতেই মানুষ হয়েছেন মহেশ ভট্ট। শিরিন মদম্মদ আলির অবৈধ জারজ সন্তান তিনি। তবে মহেশের বাবাই নাকি তার মাকে বলেছিলেন ছেলের এই নাম রাখতে। তার বাবার নাম নানাভাই ভট্ট। যদিও তার জন্মের পর তাদের ছেড়ে চলে যান নানাভাই।
জীবনের প্রথম সময়ের বন্ধু কিরনকে বিয়ে করেন তিনি। যদিও কিরনের আসল নাম ছিল লরেন ব্রাইট। কিরন ছিলেন তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী, তার সাথে পূজা ভট্ট এবং রাহুল ভট্ট নামের দুই সন্তান হয়। বাড়িতে দুই সন্তান এবং স্ত্রী থাকার পরেও তিনি সে সময়কার বলিউডের সুপার হিট নায়িকা পরভিন ববির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে পরভিন ববি মানসিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেন মহেশ ভট্ট।
কিন্তু ঠিক সেইসময় তিনি আবার প্রেমে পড়েন। নবাগতা অভিনেত্রী সোনি রাজদানকে পছন্দ হয়ে যায় তার। ১৯৮৬ সালে তাকে বিয়েও করেন মহেশ ভট্ট, কিন্তু যেহেতু প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সাথে তার আইনত ডিভোর্স হয়নি তাই তিনি সাহায্য যেন বর্বর ইসলাম ধর্মের। হিন্দু থেকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হিয়ে বিয়ে করেন সোনি রাজদানকে।
সোনি রাজদান আর তার এক মেয়ে রয়েছে আলিয়া ভট্ট, তিনি এখন বলিউডে বেশ নাম কুড়িয়েছেন। তবে এখানেই শেষ নয়, ৭০ বছর বয়সী মহেশ ভট্টের ২৬ বছর বয়সী রিয়া চক্রবর্তীর সম্পর্ক নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। দুজনে মিলে নিজেদের অন্তরঙ্গ ছবি শেয়ার করে সেছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘‘শুভ জন্মদিন আমার বুড়ো… মহেশ স্যর। এটাই আমরা। তুমি ভালবেসে আমাকে জড়িয়ে ধরেছ, আমাকে ভালবাসা দিয়েছে, তুমি আমার চিরকালের মতো গুটিয়ে রাখা ডানা খুলে দিয়েছে, আমাকে উড়তে শিখিয়েছে… আর কোনও শব্দ আসছে না, তোমাকে ভালবাসি।’’
যদিও তারপর অনেক সমালোচনা, তর্ক বিতর্ক শুরু হওয়ায় রিয়া বলেন মহেশ তাঁর শিক্ষক। তাঁর বাবার মতো। তাতে অবশ্য শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায়নি। অবশ্য নিজের মেয়ের সাথে যেরকম সম্পর্কে রয়েছেন তিনি তাতেও অনেকের মধ্যে ক্ষোভের শেষ নেই। এক ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভার ফটোশুটের সময় মহেশ ভট্ট তার মেয়ের সাথে অন্তরঙ্গ হয়ে ছবি তোলেন।
সেখানেই শেষ নয়, মেয়েকে কোলে বসিয়ে লিপ লক করেন তিনি! আবার ছবির ক্যাপশনে বড় বড় করে লিখেছিলেন, ‘পূজা যদি আমার মেয়ে না হত, তাহলে আমি তাকে খুশি খুশি বিয়ে করতাম।’ বাবার মেয়ের প্রতি এরকম যৌন আকাঙ্ক্ষা ভারত ভূমি আগে কোনদিন দেখেনি। বিরাট বিতর্ক সৃষ্টি হলেও পরে মহেশ ভট্ট বা পূজা ভট্ট কেউই এই নিয়ে মুখ খোলেননি।