নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ের মানুষজন মল কালচারের সঙ্গে নিজেদেরকে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আর তাই শহরের পাশাপাশি মফস্বল এমনকি গ্রামেও এখন মল কালচার দেখতে পাওয়া যায়। তবে ভারতের এই মল কালচার এনেছিলেন যেই ব্যবসায়ী। তিনি আজকে গভীর আর্থিক সংকটে জর্জরিত রয়েছেন। তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন ফিউচার গ্রুপের(Future Group) মালিক কিশোর বিয়ানি(Kishore Biyani)।
আমরা কমবেশি সকলেই শপিং মল বলতে একসময় বিগবাজারকে মনে করতাম। কিন্তু এই বিগ বাজারের মতো বিরাট প্রজেক্ট একদিন ব্যর্থ হবে তা কেউই জানতে পারেনি। আর্থিক সংকট এমন পরিস্থিতিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মুম্বাইয়ের প্রাচীনতম মলটি ও বিক্রি করতে হয়েছে তাদেরকে। করোনার সময় থেকে ফিউচার গ্রুপ বিশাল দেনার দায়ে জর্জরিত হতে শুরু করে।
ইকোনোমিক টাইমস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ফিউচার গ্রুপ মল বিক্রি করে একযোগে প্রায় ৪৭৬ কোটি টাকার বকেয়া মিটিয়েছে। মল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ঋণদাতাদের ৫৭১ কোটি টাকা বকেয়া মেটানো হয়ে গিয়েছে। তবু এখনো বড় অংকের টাকা মেটানো বাকি আছে। ঋণদাতাদের বকেয়ার ৮৩ শতাংশ টাকা মেটানো হয়ে গিয়েছে। মুম্বাইয়ের এই প্রাচীন শোবো সেন্ট্রাল মল এখন কে রাহেজা কর্পের হাতে মালিকানাধীন পেয়েছে।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে এখনো কানাড়া ব্যাংকের কাছে এই ফিউচার গ্রুপের বকেয়া ১৩১ কোটি টাকা বাকি রয়েছে। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক-এর কাছে ৯০ কোটি টাকা বাকি রয়েছে এবং ইউনিয়ন ব্যাংক-এর কাছে ৩৫০ কোটি টাকা বকেয়া রয়ে গিয়েছে। কিশোর বিয়ানি কিভাবে নিজের প্রচেষ্টায় ফিউচার গ্রূপ গড়েছিলেন তা সত্যিই অবাক করার মত।
১৯৮০ দশকে নতুন কোন ব্যবসা করার কথা ভাবতে শুরু করেন যুবক কিশোর বিয়ানি। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিন্স খুব জনপ্রিয় ছিল। ভারতে ধীরে ধীরে জিন্সের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই দেখে স্টোন ওয়াশ ডেনিম কাপড় বিক্রি করা শুরু করেন কিশোর বিয়ানি। এরপরে সেখানে সাফল্যের পর তিনি রিটেল ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৮৭ সালে মেন্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি তিনি শুরু করেন।
১৯৯১ সালে সেটির নাম পরিবর্তন করে প্যান্টালুন ফ্যাশন ইন্ডিয়া লিমিটেড করা হয় এবং ১৯৯৪ সালে সারাদেশে প্যান্টালুন্স দোকান খোলা শুরু হয়। এরপর ২০০২ সালে বিদেশের মতো ভারতের মাটিতেও বিগবাজার তৈরি শুরু করেন ফিউচার গ্রুপ। দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় একসময় কিশোর বিয়ানির নাম ছিল কিন্তু এখন সেসব অতীত।