নিউজ শর্ট ডেস্ক: ঘুরতে যাওয়ার জন্য আবার কোনো মরশুম লাগে নাকি? হ্যাঁ ঠিক এই কথাটাই বলেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা। তাই বছরের যে কোন মরশুমেই ঘুরতে যাওয়ার জন্য এক বাড়িয়ে রেডি থাকে বাঙালি। তবে একথা ঠিক শীতকাল পড়লেই কিছুতেই মন টেকে না বাড়িতে। তাই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। আর লম্বা সফরে এখনকার দিনে কমবেশি সকলেই পাবলিক চার্জিং পয়েন্ট ব্যবহার করে থাকেন।
কিন্তু অনেকেই জানেন না আপনার এই ছোট্ট একটা ভুলই কিন্তু ডেকে আনতে পারে মহা বিপদ! ঘুরতে বেরিয়ে যখন অনেকটা পথ ট্রেনেই সফর করতে হয় তখন অনেকেই পাবলিক চার্জিং স্টেশনগুলিতেই মোবাকিল চার্জে বসিয়ে দেন। কিন্তু এবার এই বিশেষ পরিষেবারই সুযোগ নিতে শুরু করেছে হ্যাকাররা। চার্জিং পয়েন্টের মধ্যে দিয়েই মোবাইলের মধ্যে ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যার ভাইরাস ইনস্টল দিচ্ছে প্রতারকরা।
এই ভাবেই হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর ফোনের ইমেল, এসএমএস সহ অন্যান্য সমস্ত জরুরি ডেটা চুরি করে নিচ্ছে। এমনকি নিমেষের মধ্যেই খালি করে দিচ্ছে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক আরবিআই (RBI)। এই গোটা বিষয়টিকে বলা হয় ‘জুস জ্যাকিং স্ক্যাম’ (Juice Jacking Scam)।
কী এই জুস জ্যাকিং স্ক্যাম ?
এটি এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে সাইবার স্ক্যামাররা মোবাইল এবং ল্যাপটপের মতো ডিভাইস থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডেটা চুরি করার জন্য প্রথমে সেটিকে প্রথমে হ্যাক করে। তারপর ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে দেয়। এই ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার বা হার্ডওয়্যার হল এমন একটি জিনিস, যা খুব সহজেই মোবাইল হ্যাক করতে পারে। এই ধরনের স্ক্যাম বেশি হচ্ছে বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন, হোটেল, বাস আর ট্রেনে।
চার্জিং ছাড়াও এই পোর্ট গুলির সাহায্যে যে কোনো ফাইল বা ডেটা ট্রান্সফার করা যেতে পারে। সাইবার স্ক্যামাররা ফোনে ম্যালওয়্যার ইন্সটল কোলে পাবলিক চার্জিং পোর্টে ফোন কানেক্ট করলেই তা হ্যাং হয়ে যাবে। তখন পাসওয়ার্ড দিয়েও লক খোলা যাবেনা। আবার অনেক ক্ষেত্রে মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জে বসানের সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাকাররা সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নেবে।
এই ধরনের স্ক্যাম কীভাবে এড়িয়ে যাবেন?
সবচেয়ে ভালো হয় এই ধরণের পাবলিক চার্জিং স্টেশনে মোবাইল চার্জেই না বসলে।
কিন্তু একান্তই যদি ফোনের চার্জ একেবারেই শেষ হয়ে গিয়ে ফোন সুইচ অফ হয়ে গিয়েছে। তখনই পাবলিক চার্জিং স্টেশন থেকে ফোনে চার্জ দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরেই বদলে যাচ্ছে নিয়ম! লক্ষ লক্ষ অ্যাকাউন্টে তালা ঝোলাচ্ছে গুগল, আটকান এই উপায়ে
আর যখনই এই সমস্ত জায়গায় মোবাইল বা অন্য কোন ডিভাইস চার্জে বসবেন তখনই সুইচ অফ করে দেবেন।
চার্জে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি ফোন গরম হয়ে যায় বা ফোন স্লো কাজ করে, তাহলে পাবলিক চার্জিং স্টেশনে চার্জ না দেওয়াই ভাল।
তাছাড়া যখনই এই ধরণের পাবলিক চার্জিং স্টেশনে মোবাইল চার্জ বসবেন তখন নিজের চার্জার ব্যবহার করে ভালো। এতে ফোন হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।