নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে চাকরির (Job) পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ ঝুঁকছেন ব্যবসার (Business) দিকেও। কারণ চাকরি থেকে যে অর্থ উপার্জন করা হয় তা এখনকার মূল্য বৃদ্ধির বাজারে সংসার চালানোর জন্য যথেষ্ট নয়। তাছাড়া ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যে স্বাধীনতা থাকে চাকরিতে সে স্বাধীনতা থাকে না। তাই আগামী দিনে কেউ যদি নিজের ব্যবসা করার চিন্তাভাবনা করে থাকেন তাহলে আজ আপনাদের জন্য থাকছে এমনই দুটি লাভজনক ব্যবসার কথা।
যা একসাথে করলে বিরাট লাভ তো হবেই, সেই সাথে এই ব্যবসা করার জন্য সরকার থেকেও পাওয়া যাবে সাহায্য। আসুন এই দুই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক। মাছ চাষের (Fish Farming) সঙ্গে হাঁস পালন (Duck Farming) করার এই ব্যবসায় যে পুকুরে মাছ চাষ করা হবে সেই পুকুরের জলেই হাঁস ছেড়ে দিলে সেই পুকুরের জল পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে হাঁস।
তাছাড়া হাঁস পুকুরের জলে সাঁতার কাটলে জলে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। এর ফলে মাছের যেমন বৃদ্ধি হবে তেমনি মাছ চাষেও আরো উন্নতি হবে। অর্থাৎ আয়ের সম্ভাবনা বাড়বে আরও। তবে মাছ চাষ করার জন্য বেশ কিছু নিয়ম জানা প্রয়োজন। মাছ চাষ করার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি বড় পুকুরের।
আর ওই পুকুরের গভীরতা হতে হবে কমপক্ষে ১.৫ মিটার থেকে ২ মিটার। তবে এর বেশি গভীরতা থাকলেও চলবে। তবে শুধু গভীরতাই নয় প্রতি হেক্টর পুকুরে প্রয়োজনে অনুসারে আড়াইশো থেকে ৩০০ কেজি চুন ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: YouTube চ্যানেল খোলার আগেই জানুন এই স্পেশ্যাল ট্রিকস! প্রতি মাসে আয় হবে মুঠো মুঠো টাকা
এরপর ওই পুকুরে হাঁস পালন করতে হলে পুকুরের সামনে এবং পুকুরের চারপাশে বাঁশ এবং কাঠ দিয়ে একটি ঘেরা তৈরি করতে হবে। যার মধ্যে হাঁস পালন করা যাবে। তবে মনে রাখতে হবে, ঘেরাটির ভালো উচ্চতা থাকতে হবে, তা না হলে হাঁস উড়ে বাইরে বেরিয়ে যাবে।
এই ব্যাবসার সুবিধা
কেউ মাছ চাষের সাথেই হাঁস পালনের ব্যাবসা করতে পারেন তাহলে একসাথে অনেক সুবিধা পাবেন। সাধারণত হাঁস পালনে করতে গেলে প্রতিদিন হাঁসকে ১২০ গ্রাম দানা খেতে দিতে হয়, কিন্তূ যদি মাছ চাষের সাথেই হাঁস পালন করা হয় তাহলে মাত্র ৬০ থেকে ৭০ গ্রাম দানা দিলেই হবে। বাকি খাবার তারা পুকুর থেকেই পেয়ে যাবে।
তাছাড়া ২০০ থেকে ৩০০টি হাঁসের বিষ্ঠা পুকুরের মাছেদের জন্য যথেষ্ট উপকারী। এছাড়াও, পুকুরে হাঁস সাঁতার কাটলে যে অক্সিজেন জলে দ্রবীভূত হবে, তা মাছকে বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এইভাবে এই ২টি ব্যাবসা করে বছরে ৩৫০০ থেকে ৪০০০ কেজি মাছ, ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি হাঁস মাংস এবং ১৫,০০০ থেকে ১৮,০০০ ডিম বিক্রি করা যাবে। যা থেকে সহজেই অনুমান করা যায় এই ব্যবসা থেকে লাভের পরিমান কত হতে পারে।
তবে শুধু তাই নয়, এই ব্যাবসা শুরু করার জন্য আর্থিক সহযোগিতাও করছে সরকার। এই ব্যবসার জন্য যথেষ্ট পুঁজি না থাকলেও সরকারের কাছ থেকে কম সুদে লোন নেওয়া যাবে।