প্রেম-বিচ্ছেদ এসব যেন বিনোদন জগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রেম যেন এদের কাছে খেলনা। বিচ্ছেদের রমরমায় সম্পর্ক কথাটাই বড়ো ক্ষণস্থায়ী হয়ে উঠেছে আজকাল। এমনই এক জনপ্রিয় কাপল ছিলেন টেলি অভিনেতা ফারহান ইমরোজ এবং অভিনেত্রী প্রত্যুষা পাল। টলিপাড়ার বহুল চর্চিত এই যুগল নিজেদের সম্পর্কটা কোনোদিনই আড়ালে রাখেননি। নেট মাধ্যমেও রয়েছে তাদের ছবি।
জনপ্রিয় চ্যানেল জি বাংলায় সম্প্রচারিত ‘তবু মনে রেখো’ ধারাবাহিকে শুরু হয় তাদের পথ চলা। একসাথে কাজ করতে করতে কখন যে অনস্ক্রীন কেমিস্ট্রি অফস্ক্রীন কেমিস্ট্রিতে বদলে গেছে তা কেউই টের পায়নি। একটা ফ্ল্যাটে একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেছিলেন দুজনে। এমনকি জনপ্রিয় শো, ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর মঞ্চে সেলিব্রেটি কাপল হিসেবেও হাজির ছিলেন তারা।
একবার তো ফারহান নিজেই জানিয়েছিলেন যে, ‘এক সেকেন্ডের জন্য যদি আমি ওকে না দেখি তাহলে আমি পাগল হয়ে যাই’। ফারহান যে তাকে নিয়ে বড্ডো বেশি পজেটিভ একথা অস্বীকার করেনি স্বয়ং প্রত্যুষাও। নিজেদের মধ্যেকার আন্ডারস্ট্যান্ডিং নিয়েও বেশ কনফিডেন্ট ছিলো এই যুগল। কিন্তু হঠাৎ করেই বলা নেই কওয়া নেই ভেঙে যায় প্রত্যুষার স্বপ্নের ঘর।
সাল ২০১৮ তে আলাদা হওয়ার পর আজ ৪ বছর হতে চললো আর কোনো যোগাযোগ নেই তাদের। যে জুটি একে অপরকে চোখে হারাতো আজ তারাই একে অপরের চোখে বিষ। সম্পর্কের তিক্ততা এতোটাই বেড়ে গেছে যে প্রত্যুষার নাম মুখে আনা তো দূরের কথা তাকে কখনো চিনতেন একথাই স্বীকার করতে চায়না ফারহান।
কোথাও কোনো মিডিয়ায় প্রত্যুষার নাম উঠলেই অতি সন্তর্পনে তা এড়িয়ে যান অভিনেতা। এমনকি গত বছর প্রত্যুষা যখন লাগাতার ধর্ষণের হুমকি পাচ্ছিলেন তখনও একটা বারের জন্যেও প্রত্যুষার খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তিনি। উত্তর দেননি প্রত্যুষার কোনো ফোন কলের।এমনকি মিডিয়ার তরফ থেকে প্রত্যুষার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ফারহানের সাফ উত্তর ছিলো, বহুদিন প্রত্যুষার সাথে যোগাযোগ নেই।
অভিনেতার কথায়, একটা সময় একসাথে কাজ করেছিলেন ঠিকই কিন্তু বর্তমানে আর কোনো যোগাযোগ নেই। পাশাপাশি অভিনেতা এও বলেন যে, তিনি প্রত্যুষার সাথে কোনোরকম যোগাযোগ রাখতে আগ্রহী নন। আর না তিনি প্রত্যুষাকে কোনোরকম সাহায্য করতে ইচ্ছুক। যদিও প্রত্যুষার দিক দিয়ে ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো। একাধিকবার ক্যামেরার সামনে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে তাকে। বিচ্ছেদের দীর্ঘ সময় পরও প্রাক্তনের নামের ট্যাটু সঙ্গে নিয়ে ঘুরেছেন প্রত্যুষা। তবে এখন আর তার বুকে সেই প্রাক্তন প্রেমিক নাম লেখা ট্যাটু নেই। তার জায়গায় তিনটি গোলাপের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে তার নিজস্ব সত্ত্বা।