ওজাস মহেশ্বরী,জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা,Ojas Maheswari,Topper,টপার

Moumita

মাত্র ৬ বছর বয়সেই শ্রবণশক্তি হারায় এই কিশোর, সব বাধা পেরিয়ে JEE main-এ ৯৯ শতাংশ নম্বর নিয়ে টপার ওজাস মহেশ্বরী

JEE মেইন ২০২২, রেজাল্ট প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের লাখো ছেলে মেয়ে নিজেদের স্বপ্নের আরেকটু কাছে এগিয়েছে। এরকমই এক পরীক্ষার্থী হলেন ওজাস মহেশ্বরী। মুম্বইয়ের আন্ধেরির বাসিন্দা তিনি। সম্প্রতি ওজাসের গল্প প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

   

JEE মেইন তো এই প্রথম নয়, বছরের পর বছর ধরে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশে। কিন্তু ওজাসের ক্ষেত্রে কী এমন আলাদা যে তাকে নিয়ে আলাদা করে খবর করতে হচ্ছে। আসলে কঠিন প্রশ্নপত্রের পাশাপাশি ওজাসকে মোকাবিলা করতে হয়েছে ভয়াবহ শারীরিক সমস্যার সাথেও। আর এখানেই সবার চেয়ে আলাদা হয়ে উঠেছে এই তরুন।

প্রসঙ্গত, JEE main ২০২২, ৯৯.৯৯০৪ শতাংশ নম্বর সহ সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে ওজাস। বছর ১৮ এর এই তরুণ এখন আইআইটি বোম্বেতে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং করার স্বপ্নের আরো একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। তবে তার লড়াই এটা নয়, তার লড়াইয়ের গল্প অন্য।

মাত্র ৬ বছর বয়সে নিজের শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন ওজাস। হঠাৎ করেই তার পুরো পৃথিবীটাই পালটে যায়। যেন এক নিমেষে থমকে গেছে সবকিছু। ঐ ছোট্ট একরত্তি একটা বাচ্চা কিন্তু হার মানেনি। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে গণিত আর বিজ্ঞানের মধ্যে ডুবে গিয়েছিল সে। পাশে ছিলো মা পূজা মহেশ্বরী।

ওজাসের মা পূজা নিজেও একজন অলিম্পিয়াড শিক্ষিকা। তার তত্ত্বাবধানেই শুরু হয় ওজাসের পড়াশোনা। অলিম্পিয়াড, বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রদর্শনী এবং নানাবিধ পরীক্ষায় অংশ নিতে শুরু করে ওজাস। JEE main এর আগে ওজাসের KYPY-এ AIR 1 এবং জেনারেল র্্যাঙ্ক হয় 17। পাশাপাশি তিনি NTSE তেও টপ করেছেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওজাস জানিয়েছে তার জীবনের রোল মডেল হলেন সুন্দর পিচাই এবং এপিজে আবদুল কালামের মতো ব্যক্তিত্বরা। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে দশম শ্রেণীর পর তিনি বেছে নিয়েছিলেন নারায়ণ একাডেমিকে। এখান থেকেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে থাকেন তিনি। বাবা-মায়ের পাশাপাশি একাডেমির শিক্ষকদেরও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই তরুণ।