বিনোদন জগতের মানুষদের বিবাহ সংক্রান্ত বিষয় সামনে এলে এটাই মনে হয় যে, তারা নিশ্চয় নিজেদের পেশার কারো সাথেই গাঁটছড়া বাঁধবেন। একই সেটে দেখা, বন্ধুত্ব, প্রেম থেকে বিয়ে। আসলে বাস্তবে এরকম ভুরিভুরি উদাহরণ পাওয়া যায়। তবে কিছু অভিনেতা এমনও আছেন যারা এই নিয়মের উল্টোপথে হেঁটেছেন। কো-স্টারদের বদলে বিয়ে করেছেন বড়ো ব্যবসায়ীর মেয়েদের। চলুন দেখে নিই কে কে রয়েছেন এই তালিকায়।
১) রামচরণ এবং স্ত্রী উপাসনা কামিনেনি : ‘ট্রিপল আর’ খ্যাত তারকা রামচরণ তেজা যে দেশের কত মেয়ের হৃদয় হরণ করেছে তার ইয়ত্তা নেই। অভিনেতার বিয়ের কথা বললে, সাল ২০১২ তে অ্যাপোলো ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ার পার্সন অনিল কামিনেনির মেয়ে উপাসনা কামিনেনিকে বিয়ে করেন। উপসনার তার দাদা প্রতাপ সি রেড্ডি অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা।
২) আল্লু অর্জুন এবং স্ত্রী স্নেহা রেড্ডি : স্টাইলিং স্টার আল্লু অর্জুনের ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে মহিলা মহলে। তার নাচ, অভিনয় দেখে কেউ মুগ্ধ হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে, পুষ্পা তারকা আল্লু অর্জুন ২০১১ সালে স্নেহা রেড্ডিকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি কাঞ্চরালা চন্দ্রশেখর রেড্ডি এবং কবিতা রেড্ডির কন্যা। কাঞ্চরালা চন্দ্রশেখর রেড্ডি একজন ব্যবসায়ী এবং ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্টিফিক টেকনোলজির সভাপতি।
৩) রানা দাগ্গুবতী এবং স্ত্রী মিহিকা বাজাজ : লকডাউনের মধ্যেআ মিহিকা বাজাজকে বিয়ে করেছিলেন রানা দাগ্গুবতি। জানা গেছে, মিহিকা বাজাজ নিজে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। তার মা কৃশালা জুয়েলার্সের নির্দেশক ও ক্রিয়েটিভ হেড।
৪) জুনিয়র এনটিআর এবং স্ত্রী লক্ষ্মী প্রণতি : দক্ষিণ সুপারস্টার জুনিয়র এনটিআর এবং লক্ষ্মী প্রণতির বিয়েটি ছিল দক্ষিণের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিয়েগুলির মধ্যে একটি। লক্ষ্মী প্রণতির বাবা একজন খুব বড় ব্যবসায়ীর পাশাপাশি তেলেগু নিউজ চ্যানেলের মালিক। এছাড়াও তার মা রাজনীতিবিদ চন্দ্রবাবু নাইডুর ভাইঝি।
৫) দুলকার সালমান ও আমাল সুফিয়া : অভিনেতা দুলকার সালমান ২২ অক্টোবর ২০১১-এ আমাল সুফিয়াকে বিয়ে করেন যিনি নিজে একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনারকে। তার বাবা চেন্নাইয়ের একজন বিখ্যাত ব্যবসায়ী।
৬) থালাপথি বিজয় এবং সঙ্গীতা সোর্নালিঙ্গম : দক্ষিণ অভিনেতা থালাপথি বিজয় ২০১৭ সালে তার একনিষ্ঠ ভক্ত সঙ্গীতা সোর্নালিঙ্গমকে বিয়ে করেছিলেন। বর্তমানে তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। সঙ্গীতা সোর্নালিঙ্গার বাবা শ্রীলঙ্কার নামি শিল্পপতি।