বলিউড,বিনোদন,গসিপ,রাজকুমার,মেহুল কুমার,অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া,Bollywood,Entertainment,Gossip,Rajkumar,Mehul Kumar

Moumita

বেঁচে থাকতেই পেতেন এই ভয়, তাই অভিনেতা রাজকুমারের মৃত্যুর খবর টের পায়নি কেউই!

হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের প্রবীণ অভিনেতা ‘রাজকুমার’ তার সময়ের শীর্ষ অভিনেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন। যিনি নিজের চলচ্চিত্র কর্মজীবনে ৭০ টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছিলেন এবং সম্পূর্ণ নিজের প্রতিভায় পৌঁছেছিলেন সাফল্যের শীর্ষে। জানলে অবাক হবেন সেই সময় দাঁড়িয়েও আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিক চাইতেন তিনি কিন্তু তার জনপ্রিয়তা এতোটাই বেশি ছিলো যে নির্মাতারা সেই পারিশ্রমিক দিতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করতেন না।

   

সেইসময় ফিল্মের হিরো-হিরোইনদের স্টারডম এতোটাই বেশি ছিলো যে, সাধারণ মানুষ তাদের দেবতাজ্ঞানে পুজো করতো। শুধুমাত্র চলচ্চিত্রে তাদের উপস্থিতির কারণে, লক্ষ লক্ষ দর্শক ভিড় জমাতো প্রেক্ষাগৃহে। এমতাবস্থায় অভিনেতা রাজকুমার রাওয়ের অন্তিম ক্রিয়া এমনভাবে সম্পন্ন করা হয়েছিলো যে, সাধারণ মানুষ তাকে চোখের দেখা দেখতে পাওয়া তো দূর, মানুষের কাছে তার অন্তিম যাত্রার খবরই পৌঁছায়নি। কিন্তু কী এমন হয়েছিলো যার কারণে এরকম একজন বিখ্যাত অভিনেতার এইভাবে চুপিসারে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছিলো, চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।

বলিউড,বিনোদন,গসিপ,রাজকুমার,মেহুল কুমার,অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া,Bollywood,Entertainment,Gossip,Rajkumar,Mehul Kumar

প্রসঙ্গত, এই প্রয়াত অভিনেতা মৃত্যুর আগে প্রায় ২ বছর ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছিলেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে রাজকুমার এই পৃথিবীকে চিরতরে বিদায় জানান। এরপর খুবই চুপিসারে শেষ করা হয় তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। আসলে, এই পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার আগেই, রাজকুমার তাঁর সাথে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা লোকদের বলেছিলেন যে তিনি চান না ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কোনও ব্যক্তি তাঁর শেষযাত্রায় শামিল হোক, এবং এর পেছনেও ছিলো একটি বিশেষ কারণ।

বলিউড,বিনোদন,গসিপ,রাজকুমার,মেহুল কুমার,অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া,Bollywood,Entertainment,Gossip,Rajkumar,Mehul Kumar

বিখ্যাত পরিচালক মেহুল কুমার একবার তার এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়টির খোলাসা করেছিলেন। পরিচালক জানিয়েছিলেন যে, ১৯৮৭ সালে তখন ‘মরতে দম তক’ ছবির শুটিং করছিলেন রাজকুমার। ছবির শেষ দৃশ্যে রাজকুমার মারা যান। খান্ডালার ফারিয়াজ হোটেলের সামনে চলছিলো শুটিং। রাজকুমার একটি ভ্যানে শুয়ে ছিলেন এবং সেইসময় মেহুল তার গলায় পরিয়ে দেন একটি মালা‌। এর পর রাজ সাহেব ঠাট্টা করে বললেন, ‘এবার গলায় মালা পরিয়ে দিলে কিন্তু কখন সত্যি চলে যাবো জানবেও না। এর উত্তরে মেহুল কুমার বেশি কিছু না বলে শুধু এটুকুই বলেছিলেন যে, তিনি চান তাঁর জীবন দীর্ঘ হোক!

এই ঘটনার পর মেহুল নিজেই রাজকুমারের কাছে পৌঁছান এবং তিনি তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে জবাবে রাজকুমার বলেন যে, “জানি, তুমি জানো না, ফিল্ম লাইনে আমরা শ্মশানযাত্রাকে একটা চমক হয়ে উঠতে দেখি। সাদা পোশাকের মানুষ তারপর মিডিয়া আর প্রেস। যাঁরা মারা গেছেন তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বদলে তা হয়ে দাঁড়ায় চমক। তাই আমার শেষকৃত্য আমার পরিবারের জন্য হবে, যেখানে পরিবার ছাড়া অন্য কেউ অংশ নেবে না।”