পার্থ মান্নাঃ দেশ তথা রাজ্যের গরিব মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য তুলে দেওয়ার জন্য রেশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। যার দৌলতে পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিমাসে কেজি কেজি চাল, গম পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই রেশন ব্যবস্থায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। তাই এবার ভুয়ো কার্ড থেকে শুরু করে রেশন দুর্নীতি রুখতে একেবারে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দফতর। তাই আপনিও যদি প্রতিমাসে রেশন তুলতে যান তাহলে এই প্রতিবেদনটি অবশ্যই শেষ অবধি পড়ুন।
রেশন পক্রিয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের
যতদিন যাচ্ছে রেশন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটার পর একটা দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। তাই এবার দুর্নীতি দমনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হল। এতে বেআইনিভাবে রেশনের খাদ্যশস্য বাজারে বিক্রি হওয়া বন্ধ হকরা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল যে তারা নাকি সরকারের তরফ থেকে আসা ভর্তুকি দেওয়া চাল ও গম রেশন কার্ড হোল্ডারদের না দিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই এবার এই ধরণের কোনো খবর এলে ওই রেশন ডিলারকে জরিমানা করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি তাঁর লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে।
লাইসেন্স বাতিল করবে রাজ্য সরকার
প্রথমেই কোনো ডিলারের কাছে কতটা চাল, গম হেকে শুরু করে ডাল বা অন্যান্য রেশন আইটেমের স্টক কতটা আছে সেটা দেখে নেওয়া হবে। যদি কোনো অভিযোগ ওঠে বা বেশি স্টক পাওয়া যায় তাহলে তাকে মোট মজুত শস্যের তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। কোনোভাবেই যাতে গরিবদের জন্য বরাদ্দ চাল, গম পাচার না হে পারে তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রয়োজনে সেই ডিলারের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করে দেয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও রেশন দোকানের জন্য আরও বেশি EPOS মেশিন আনা হবে। এর ফলে কোন কার্ডে কত কেজি কি জিনিস পাওয়া উচিত সেটা সোজাসুজি প্রিন হয়ে বেরোবে যা হ্রাহকদের থেকেই পাওয়া যাবে। এই মেশিনের দ্বারাই সমস্ত রেশন সামগ্রীর স্লিপ বের হবে। আর এখানে ভুল কিছুই হলেই ধরা পরে যাবে। এরপর কমপ্লেন পেলেই অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।