বাঙালির প্রধান খাবার মূলত ভাত হলেও, রুটিও(Roti) কিন্তু অনেকেই পছন্দ করেন। তার অপর একটা কারণ স্বাস্থ্য সচেতনতাও বটে। তাই বেশিরভাগ বাঙালির খাদ্য তালিকায় দেখা যায়, দুপুরে ভাত থাকলেও রাতে থাকে রুটি। এবার যারা নতুন নতুন রুটি করছেন, তাদের জন্য এটা খুবই ঝকমারির কাজ। তাই আজ আমরা এমন এক ট্রিক বলব যাতে রুটি হবে একেবারে নরম তুলতুলে।
আসলে রুটি করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আটা মাখা। বিশেষ করে আটা মাখা সময় একটু এদিক ওদিক হলেই রুটি যাবে বিগড়ে। হয়তো ফুলবেনা নয়তো, রুটি শক্ত হয়ে যাবে। তবে যদি এইভাবে আটা মাখেন তাহলে রুটি তুলতুলে নরম তো হবেই, পাশাপাশি ফুলবেও দারুন।
সবার আগে আটা ভালো করে চেলে নিন। এতে করে আটায় কোনো বালি, কাঁকর থাকলে তা আলাদা হয়ে যাবে। এরপর অল্প তেল এবং ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে আটা মাখতে হবে। এতে করে দেখবেন রুটি যেমন নরম হবে, তেমন ফুলবেও ভালো। আর যদি রুটিকে আরো সুস্বাদু করতে চান, তাহলে নীচের এই পদ্ধতিটিও ট্রাই করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আটা মাখার সময় অল্প পরিমাণে দুধ কিংবা দই মিশিয়ে দিতে পারেন। যদিও রোজকার রুটিতে এটা করা উচিত হবেনা। তবে মাঝেমধ্যে এইভাবে খাওয়াই যায়। অথবা বাড়িতে আত্মীয়স্বজন এলে তাদেরকেও খাওয়াতে পারেন এই বিশেষ রুটি।
পাশাপাশি আরো একটি বিষয় বলে রাখি, আটা মাখার সাথে সাথেই রুটি তৈরি করা উচিত নয়। আটা মাখার পর কম করে হলেও ১০ থেকে ১৫ মিনিট সেটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হয়। এরপর রুটি বেলার সময় ওপরে যে হালকা ময়দা ছড়ানো হয়, রুটি সেঁকার সময় সেটা ঝেড়ে ফেলে দেবেন।
এছাড়া এখানে আগুনের আঁচ একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মনে রাখবেন, রুটি সেঁকবার সময় তাওয়া সবসময় হালকা থেকে মাঝারি আঁচে রাখতে হয়। তাছাড়া আটা মেখে তারপর সেটা কখনোই ফ্রিজে বেশিক্ষণ রাখা উচিত নয়। এতে করে রুটি ফুলবেওনা বা নরমও হবেনা। তাই এবার থেকে এই কয়েকটি টিপস মাথায় রাখুন, দেখবেন খুব সহজেই তৈরি হচ্ছে তুলতুলে নরম এবং ফুলকো রুটি।