রবিবার, মহালয়ার দিনে সবাই যেখানে পুজো প্ল্যান করতে ব্যস্ত সেখানে কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন টেলি সুন্দরী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। পুজোর কটা দিন চুটিয়ে মজা করা চাই, আর তারজন্য দরকার কাজ থেকে ছুটি। কিন্তু ছুটি তো তখনই মিলবে তখন আগাম কাজ করা থাকবে। তাই ধারাবাহিকের আগাম পর্বের শ্যুট চলছে আপাতত। এরমধ্যেই এক জনপ্রিয় মিডিয়ার সাথে খোশগল্পে মেতে উঠলেন আমাদের ‘চিঠি’।
বছরের এই চারটে দিন নিয়ে উৎসাহ থাকেনা এমন বাঙালি এই বাংলায় নেই। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি প্রত্যেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে এই চারটে দিনের জন্য। প্যান্ডেল হপিং থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া সাজগোজ, প্রচুর ব্যস্ততা এই কয়দিন। প্রায় একমাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় প্ল্যানিং। এখন পুজো নিয়ে দেবচন্দ্রিমার কী প্ল্যান?
পুজোর এই কয়দিন কী কী করবেন, কীভাবে কাটাবেন এই চারটে দিন? প্রশ্ন করতেই দেবচন্দ্রিমার উত্তর, ‘আমার কোনও বন্ধু নেই। তাই বাড়ি থেকে বেরবো না। পরিবারের সকলের সঙ্গেই সময় কাটাব। বাড়ির সকলের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দেব। আর খাওয়াদাওয়া করব। চিংড়ি মাছের মালাইকারি আর ধোঁয়া ওঠা ভাত আমার চাই-ই চাই!’
এতোদিন ধরে কাজ করেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে, তারপরেও নেই কোনো বন্ধু। কথাটা শুনতে অবাক লাগলেও দেবচন্দ্রিমা জানান, ‘আসলে সবাই খুব স্বার্থপর। নিজের কথাই ভাবে। স্কুল-কলেজের বন্ধুদের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই রকম। তাই পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর আর যোগাযোগ থাকেনি। কাজের ব্যস্ততায় পরিবারের মানুষগুলোকে সময় দিতে পারি না। পুজোর কয়েকটা দিন না হয় ওদের সঙ্গেই কাটালাম!’
জন্মসূত্রে সিঙ্গুর থেকে এসেছেন অভিনেত্রী। কর্মসূত্রে থাকেন কলকাতায়। শুটিংয়ের মাঝে সময় পেলেই টুক করে ঘুরে আসেন পরিবারের কাছ থেকে। তাই পুজোটাও তাদের সাথেই কাটাবেন। আর এবার তো নাকি একটু লম্বা ছুটি পেয়েছেন। তাই এই সময়টা পুরোটাই পরিবারকেই দিতে চান।
তবে দশমীতে যদিও শহর ছাড়ছেন ‘চিঠি’। গন্তব্য কেদারনাথ। পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও খোলামেলা উত্তর দিলেন দেবচনন্দ্রীমা। ঘোরাফেরা, খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি প্রেমও কি আসবে জীবনে? জবাবে অভিনেত্রী বললেন, ‘ছোটবেলায় মণ্ডপে অনেককে দেখে ভালো লাগত। তবে সেটাকে প্রেম বলা যায় না। নিছকই ভালোলাগা। আর তার পর আমি একটা সম্পর্কে ছিলাম। এখন আমি একা ভালোই আছি। নিজের মতো করে জীবন উপভোগ করছি।’