Raj Chakraborty

Moumita

টাকার অভাবে সেজেছিলেন বাঁদর! টলিউড পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর স্ট্রাগল জানলে আপনিও কুর্নিশ জানাবেন

এই টলিউডের (Tollywood) প্রথম সারির পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম হলেন, রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। একদিকে ইন্ডাস্ট্রির কাজ অন্যদিকে ফ্যামিলি, সবকিছুই সমানতালে সামলাচ্ছেন তিনি। আবার তার সাথে আছে রাজনীতিও। সময়ের সাথে সাথে দায়িত্বও বেড়ে চলেছে বর্তমান তৃণমূল বিধায়কের।

   

তবে এত দায়িত্বের মধ্যে পরিবারকে সময় দিতে ভোলেননা তিনি। রাজের কথায় ‘আমি কাজপাগল মানুষ, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ছয় ঘণ্টা ঘুমোই। আর বাকি পুরোটাই কাজের মধ্যে থাকতে ভালবাসি, তার মধ্যে পরিবারকে সময় দিই’। তবে আজকের এই সাফল্য কিন্তু রাতারাতি আসেনি রাজ্যের জীবনে। খুব কম মানুষই জানেন যে, কেরিয়ারের শুরুতে কীরকম স্ট্রাগল করেছিলেন রাজ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হালিশহরের বাসিন্দা রাজ প্রথমদিকে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়। সেইসময় নিয়মতি থিয়েটার করতেন তিনি। তবে সেখান থেকে লক্ষ্মীলাভ সেরকম হতনা। তবে এই চরম দুর্ভোগের মধ্যে পাশে পেয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষকে।

সেসময় কলকাতায় ভাড়া বাড়িতে থেকেই দিন কাটত রাজ চক্রবর্তীর। আর ওই বাড়িতে রাজের রুমমেট রুদ্রনীল। একবার এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথাও বলেছিলেন তিনি। জানা গেছিল সেই সময় বাড়ি ভাড়া বাবদ তার প্রয়োজন ছিল ৩০০ টাকা।

Raj Chakraborty

কিন্তু অবস্থা এমনই যে, ঐ টাকাটাও ছিলনা তার হাতে। ঠিক তখনই নাকি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজের বন্ধু রুদ্রনীল। তিনিই রাজকে উপায় বাতলে দিয়ে সুযোগ করে দিয়েছিলেন একটি শোয়ে। সেখানে ৩০০ টাকার জন্য বাঁদর সেজেছিলেন রাজ। দুর্ভোগের দিনে যাতে ভাড়া বাড়িটাও হাতছাড়া না হয় তাই বাঁদর সেজেছিলেন আজকের স্বনামধন্য পরিচালক রাজ চক্রবর্তী।

এছাড়াও যখন জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবেও কম কষ্ট করেননি তিনি। একটা সিনে নাকি হাতে মশাল নিয়ে খালি পায়ে সাত-আটবার দৌড়াতে বলা হয়েছিল তাকে। পায়ের পাতা ছিলে যাওয়ায় চটি চাইতে গেছিলেন। ফিরে এসেছিলেন অপমানের বোঝা নিয়ে। তবে আজ কিন্তু তিনি সেটের জুনিয়র আর্টিস্টদের খেয়াল রাখেন।